নোয়াখালীতে এক ট্রাফিক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে পুলিশের মেসে এক তরুণীকে (২৩) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবলসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আসামিরা হলেন- নোয়াখালী জেলার সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেন, সিএনজি চালক মো. কামরুল, আবদুল মান্নান, নুর হোসেন কালু।
গত বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) বিকালে মাইজদীতে নোয়াখালী ট্রাফিক পুলিশের মেসে বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর রাতেই অভিযুক্ত চারজনকে আটক করে পুলিশ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী ব্যক্তিগত কাজে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে আসেন। জেলা শহরে অবস্থানকালে তার টাকা পয়সার সংকট দেখা দিলে ভুক্তভোগী তার পূর্ব পরিচিত সিএনজি চালক মো. কামরুলের সাথে দেখা করে। একপর্যায়ে কামরুল ও তার দুই সহযোগী আবদুল মান্নান ও নুর হোসেন কালু ভিকটিমকে সদর ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মকবুল হোসেনের কাছে নিয়ে যায়। এসময় তাদের সহযোগিতায় মুন্সি মকবুল হোসেন ভুক্তভোগীকে ট্রাফিক পুলিশের বাবুর্চি আবুল কালামের রুমে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এই ঘটনায় শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে অভিযুক্ত চারজনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগীর মা হাজেরা বেগম বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। ভুক্তভোগীর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
গ্রেপ্তারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মকবুল হোসেন ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করেছেন। মামলার চার আসামিকেই গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।