রাষ্ট্রপতি যখনই মনে করবেন তখনই সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ দেবেন বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আজ রোববার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় মামলাজট কমানো বিচার বিভাগের জন্য চ্যালেঞ্জ হলেও, সরকার তা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। দেশের আদালতে মামলাজট কমাতে যা যা প্রয়োজন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তাই করবেন বলেও জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আদালতের মামলার জট কমাতে পৃথিবীতে যেসব পদ্ধতি আছে, যা যা অনুসরণ করা প্রয়োজন, আমরা তাই করবো।’
মন্ত্রী বলেন, বিচারকরা হলেন বিচার বিভাগের প্রধান চালিকাশক্তি। তাই তাদের দক্ষতা উন্নয়নে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। ফলে আজ এই ইনস্টিটিউটে একই সঙ্গে দুটি ব্যাচের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সে ৭০ জন অংশ নিতে পেরেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।
এদিন বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে সহকারী জজ ও সমপর্যায়ের বিচারকদের ৪৩ ও ৪৪তম বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আনিসুল হক।
ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোর্স পরিচালক গোলাম কিবরিয়া।
উল্লেখ্য, বিচারক সংকট কাটাতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগের বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে আজ রোববার (৯ জানুয়ারি) এসব বিচারককে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।