বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (বিসিপিসিএল) কর্তৃক পায়রা বন্দরের অভ্যন্তরীণ জেটিতে স্টিভেডর এজেন্সি নিয়োগ স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে এ বিষয়ে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) -এর রিভিউ প্যানেলের দেয়া সিদ্ধান্তের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আদালত।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (৯ জানুয়ারি) বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মোহাম্মদ কামরুল হোসেন মোল্লার বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।
পাশাপাশি সিপিটিইউ কর্তৃক দেয়া সিদ্ধান্ত এবং বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক স্টিভেডর এজেন্সি নিয়োগ প্রদান কেন বেআইনি এবং কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদেরকে এ বিষয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। শুনানিতে তাকে সহযোগিতা করেন আইনজীবী মোঃ বদরুল আমিন এবং ব্যারিস্টার মোঃ মাজেদুল কাদের।
রিটের নেপথ্যে
২০১৩ সালে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইনের মাধ্যমে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড একটি পাওয়ার প্লান্ট কোম্পানি যারা পায়রা বন্দর এর মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে কয়লা আমদানি করে থাকে। এ প্রেক্ষিতে ওই কোম্পানী পায়রা বন্দরের অভ্যন্তরে একটি নিজস্ব জেটি তৈরির অনুমতি নেয়।
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে কোম্পানীর সম্পাদিত চুক্তি এবং বিদ্যমান আইন অনুযায়ী যেকোনো এজেন্সি নিয়োগদানের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত এজেন্সির মধ্য থেকে নিয়োগ দেয়ার বিধান রয়েছে। কিন্তু উক্ত কোম্পানি তাদের জেটিতে নিজস্ব এজেন্সি নিয়োগ দেওয়ার জন্য একটি দরপত্র আহ্বান করে এবং তাতে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ আপত্তি প্রদান করে।
পরবর্তীতে নুর এন্ড সন্স নামের একটি এজেন্সি উক্ত বিষয়ে সিপিটিইউর রিভিউ প্যানেলের বরাবর একটি আপিল দায়ের করেন। আপিলে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে পক্ষ না করে একতরফাভাবে একটি সিদ্ধান্ত প্রদান করা হয়। সেই সাথে বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত শর্ত পরিবর্তনের নির্দেশ প্রদান করেন সিপিটিইউ।
এরপর রিভিউ প্যানেলের আপিলের সিদ্ধান্ত এবং উক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃক নিয়োগকৃত স্টিভেডোর এজেন্সির কার্যকারিতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করা হয়। রিট আবেদনে সিপিটিইউ এর রিভিউ প্যানেল, বাংলাদেশ চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড সহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়।