সরকারি সকল ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ এর বিধি ৩৭(৪) কেন অবৈধ, অসাংবিধানিক ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার (৯ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মাজেদুল কাদের।
জানা গেছে, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কর্তৃক দরপত্রে অন্যান্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আল ইমরানের অ্যালায়েন্স পাওয়ারও অংশগ্রহণ করেছিল। কিন্তু দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি এম এম এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়। এ প্রেক্ষিতে অ্যালায়েন্স পাওয়ার এর সত্ত্বাধিকারী এস এম আল ইমরান কার্যাদেশ প্রাপ্ত কোম্পানির দাখিলকৃত কিছু তথ্য পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।
তবে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালার বিধি ৩৭(৪) এর বিধান সংযুক্ত করে ডেসকো কর্তৃপক্ষ তা দিতে অস্বীকার করে। এই বিধান মতে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কোনো দরপত্রে অংশগ্রহণকারী ঠিকাদারের যেকোনো ধরনের তথ্য অন্য কোনো ঠিকাদারের নিকট প্রকাশ করার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
বিধিমালার উক্ত বিধানটি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ এর প্রস্তাবনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া অংশগ্রহণকারী ঠিকাদার এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার পরিপন্থী। ওই বিধান তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক।
এ কারণে ইঞ্জিনিয়ার এস এম আল ইমরান রিট দায়ের করেন। রিটে আইন সচিব, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়।