দুই আইনজীবীর রিমান্ড: অধস্তন আদালতের নথি তলব করলেন হাইকোর্ট
বাংলাদেশের উচ্চ আদালত

আইন কর্মকর্তা নিয়োগ নিয়ে রুল শুনানি ২ ফেব্রুয়ারি

উচ্চ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনার জন্য আইন কর্মকর্তা নিয়োগ নিয়ে জারি করা রুলের শুনানির জন্য ২ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট।

আজ মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনকারী আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া শুনানিতে ছিলেন। বার কাউন্সিলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কফিল উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

এদিন আদালতে ছয় আইন কর্মকর্তাদের বিষয়ে বার কাউন্সিল তথ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেছেন। কারণ গেজেটে ছয় জনের শুধু নাম আছে। কিন্ত ঠিকানা নেই। এরপর আদালত রুল শুনানির জন্য ২ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ জুলাই ১০৫ জন আইনজীবীকে সহকারী অ্যাটর্নি (এএজি) ও ২১ জুলাই ৭০ জন আইনজীবীকে (ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল) ডিএজি নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন আইনজীবী ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া।

সে সময় তিনি জানান, বাংলাদেশ ল’ অফিসার অর্ডার-১৯৭২ এর ৩ (৩) নম্বর আর্টিকেলের সুস্পষ্টভাবে লঙ্ঘন। এ আর্টিকেল অনুযায়ী এএজি নিয়োগ পেতে হলে সুপ্রিম কোর্টে ৫ বছর আইনজীবী হিসেবে পেশায় থাকতে হবে। কিন্তু নিয়োগে আইনের এ শর্ত মানা হয়নি।

একই বছরে রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হারুনুর রশীদ ও কামালউদ্দীন আহমেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আল মামুন কোন কর্তৃত্ব বলে পদে আছেন, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।

ওই সময় ফরহাদ উদ্দিন জানিয়েছিলেন, আইনানুযায়ী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হতে হলে সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো ৬৭ বছর। কিন্তু এ দুইজন যখন নিয়োগ পান তাদের সময় তখন ৬৭ বছরের বেশি ছিল। এছাড়া সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হতে হলে আইন পেশায় পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হয়, কিন্তু নিয়োগের সময় আল মামুনের অভিজ্ঞতা ছিল চার বছর দুই মাস।