যুক্তরাষ্ট্রে খুব দ্রুত বাড়ছে করোনা। ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ার সাথে সাথে দেশটিতে করোনা রোগীর সংখ্যাও ঊর্ধ্বমুখী। তাই দেশটিতে বড় পরিসরে পরিচালিত সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের করোনার টিকা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে বাইডেন প্রশাসন। তবে এই নির্দেশনা স্থগিত করেছেন মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট। খবর এনআরপি এর।
বাইডেন প্রশাসনের এই নির্দেশে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মীর সংখ্যা ১০০ এর বেশি, সেসব প্রতিষ্ঠানের সব কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে করোনার ভ্যাকসিন নিতে হবে। তা সম্ভব না হলে প্রতি সপ্তাহে সকল কর্মীর করোনা পরীক্ষা করানোর কথা বলা হয়েছে। তবে এই নির্দেশনার সাথে একমত নয় দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
সম্প্রতি এ নিয়ে একটি শুনানি শেষে বাইডেন প্রশাসনের দেয়া এই নির্দেশনা বাতিল করেন সুপ্রিম কোর্ট। তবে স্বাস্থ্যকর্মীদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক টিকা নেয়ার নির্দেশ বহাল রাখা হয়েছে।
আদালতের এই রায়ের পর হতাশা প্রকাশ করেছেন বাইডেন। তিনি বলেন, জীবন রক্ষার জন্য বিজ্ঞান ও আইনসম্মত এই নির্দেশনা বাতিল করেছেন আদালত। এই সিদ্ধান্তে আমি হতাশ। তবে দেশের সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে সঠিক পথ বেছে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে এই রায়ে উল্লাস প্রকাশ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পিছপা না হওয়ায় আমরা সুপ্রিম কোর্টের জন্য গর্বিত। কোনো বাধ্যবাধকতা চলবে না।’
মার্কিন সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, বড় কোম্পানির কর্মীদের করোনার টিকা, মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। পাশাপাশি এই কর্মীদের সপ্তাহে একবার করোনা পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। আর এসব করতে হতো কর্মীদের নিজেদের খরচে। যেসব কোম্পানির ১০০ জন কর্মী রয়েছে, সেখানে কর্মরতদের এই নির্দেশ মানা বাধ্যতামূলক করেছিল মার্কিন সরকার। এমনটি হলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সাড়ে আট কোটি কর্মীকে বাধ্যতামূলক টিকা দিতে হতো।
বড় কোম্পানির কর্মীদের টিকা দেওয়া হলে আগামী ছয় মাসে সাড়ে ছয় হাজার মানুষের জীবন বাঁচানো যেত। পাশাপাশি আড়াই লাখ মানুষের হাসপাতালে ভর্তি ঠেকানো যেত। যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ শতাংশ মানুষকে সম্পূর্ণ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।