'বেশি স্মার্টনেস দেখাবেন না, কারাগারে পাঠিয়ে দেব'
হাইকোর্ট

বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলা চলবে

রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারের নকশা জালিয়াতির মামলা বাতিল চেয়ে করা ওনার্স সোসাইটির সভাপতি তাসভীর উল ইসলামের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারিক আদালতে চলবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

আজ রোববার (২৩ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে বলেন, আদালত ওনার্স সোসাইটির সভাপতি তাসভীর উল ইসলামের আবেদন নট প্রেস (উত্থাপিত হয়নি) মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে বিচারিক আদালতে এ সংক্রান্ত মামলা চলতে বাধা নেই।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ রাজধানীর কামাল আতাতুর্ক এভিনিউয়ে এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জন নিহত হন। এরপর ২৫ জুন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে ভুয়া নকশা বানিয়ে এফআর টাওয়ারের ১৯ থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করার অভিযোগে মামলা করে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- এফআর টাওয়ারের মালিক সৈয়দ মো. হোসাইন ইমাম ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান, রাজউকের সাবেক পরিচালক মো. শামসুল আলম, সহকারী পরিচালক মেহেদুজ্জামান, সহকারী পরিচালক শাহ মো. সদরুল আলম, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক জাহানারা বেগম, সহকারী অথরাইজড অফিসার নজরুল ইসলাম, রাজউকের উচ্চমান সহকারী মো. সাইফুল আলম, ইমারত পরিদর্শক ইমরুল কবির ও মো. শওকত আলী, উচ্চমান সহকারী মো. শফিউল্লাহ, সাবেক অথরাইজড অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম, নিম্নমান সহকারী মুহাম্মদ মজিবুর রহমান মোল্লা, অফিস সহকারী মো. এনামুল হক ও শওকত আলী।

ওই মামলায় ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর ভবন মালিকসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেন। পরে আসামি তাসভীর উল ইসলাম মামলাটি বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন।