নগরের কোতোয়ালী থানার জামালখান সড়কে নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার রোববার ( ২৩ জানুয়ারি) এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামির নাম মহিউদ্দিন। তিনি হাটহাজারী থানার মান্দাকিনি এলাকার এলাহী বক্সের ছেলে।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক জানান, অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরী হত্যা মামলায় গ্রেফতার মহিউদ্দিনকে আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেছিলেন। রায় ঘোষণার সময় মহিউদ্দিন দুবাইয়ে পলাতক ছিল। গত ২৯ অক্টোবরে মহি উদ্দিন দুবাই থেকে বাংলাদেশে এসে সু-কৌশলে বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন। মহিউদ্দিন বাংলাদেশে আসার সংবাদ সংগ্রহ করে আসামিকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে প্রযুক্তির ব্যবহার ও নজরদারি রাখা হয়।
মো. নূরুল আবছার জানান, মহিউদ্দিন পুনরায় দুবাই পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা করেছিল। দুবাই যাওয়ার জন্য তিনি শনিবার (২২ জানুয়ারি) করোনা টেস্টের জন্য বের হয়ে কাজ শেষে নগরের পাঁচলাইশ থানার সুগন্ধা আবাসিক এলাকায় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার মহি উদ্দিন চট্টগ্রামের একসময়ের ত্রাস সৃষ্টিকারী, খুনি, কুখ্যাত নাসির গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য এবং নাসিরের আপন ছোট ভাই। নাসির বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১ নভেম্বর সকাল বেলায় কোতোয়ালী থানার জামালখান সড়কে নাজিরহাট কলেজের অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ মুহুরীকে তার বাসায় সংবাদপত্র পড়ার সময় চট্টগ্রামের কুখ্যাত নাসির গ্যাংয়ের ক্যাডাররা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ১২ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৪২(১১)০১।
২০০৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনাল ১২ জন আসামির মধ্যে গ্রেফতারকৃত আসামি মহি উদ্দিনসহ চারজনকে ফাঁসির ও চারজনকে আসামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করলে আদালত আসামিদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ সময় চার আসামি বিচার চলাকালীন মৃত্যুবরণ করেন। দণ্ডিত আটজনের মধ্যে ছয়জন আসামি কারাগারে রয়েছে।