পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় অভাবের কারণে বিক্রি করে দেওয়া শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারের পর কন্যাসন্তানকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছেন আদালত।
জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হলে রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিচারক পল্লবেশ কুমার কুন্ডু শিশুটিকে মায়ের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দেন।
পিরোজপুর আদালত পুলিশের পরিদর্শক মীর আতাহার আলী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার দুর্গাকাঠি গ্রামের পরিমল ব্যাপারীর স্ত্রী কাজল ব্যাপারী এক মাস আগে একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। শিশুটির জন্মের পর স্থানীয় বিজন হালদার ও রনজিত কুমার নামের দুই ব্যক্তি পরিমল ব্যাপারীকে প্রভাবিত করে শিশুটিকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেন। পরে বিজন হালদার পরিমলকে শুধু ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে ওই দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে।
এরপর রোববার সকালে থানা-পুলিশ শিশুটিকে মাসহ পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। এ সময় বিচারক শিশুটিকে মায়ের জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এদিকে কন্যাসন্তানকে ফিরে পেয়ে শিশুটির মা কাজল ব্যাপারী বলেন, ‘আমার স্বামী অভাবে থাকায় ও মেয়ের সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবে ধনী একটি পরিবারকে শিশুটিকে দত্তক দিয়েছিলাম। আমি তো মা। মায়ের মন সন্তানের জন্য ছটফট করে। সন্তানকে ফিরে পেয়ে আমি খুশি।’