সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরানো এবং অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত ৬৯ বাংলাদেশির তথ্য হাইকোর্টে জমা দিয়েছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চে আগামী রোববার এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে।
হাইকোর্টের দেওয়া তালিকায় বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টুর দুই ছেলে নাম রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর নাম।
এর আগে ১২ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজার ৭৪৮ টাকা বিদেশে পাচারের তথ্য দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক বিশেষ করে সুইস ব্যাংকসহ সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, দুবাই ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেসব টাকা পাচার হয়েছে তার তথ্য নিয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছিল। গত ১৭ অক্টোবরের হাইকোর্টকে এ তথ্য জানানো হয়। পরে আরও সময় নেয় বিএফআইইউ এবং দুদক।
এরপর গত বছরের ৫ ডিসেম্বর অর্থপাচারে জড়িত ৪৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশের এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম বহুল আলোচিত পানামা ও প্যারাডাইস পেপারস কেলেঙ্কারিতে এসেছিল।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ (বুধবার) বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) হাইকোর্টে এই প্রতিবেদন জমা দেয়।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপ জানতে চান হাইকোর্ট
তালিকা চেয়ে আদালতের স্বপ্রণোদিত রুল
গত বছর ২২ নভেম্বর বিদেশে অর্থপাচারকারীদের তথ্য চেয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন।
এ রুল বিবেচনায় থাকা অবস্থায় বিদেশে টাকা পাচারকারীদের নাম-ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য (মামলাসহ, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না) প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে বলা হয়। দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, এনবিআর চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।