রাষ্ট্রবিরোধী ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় আলোচিত ‘শিশু বক্তা’ রফিকুল ইসলাম মাদানীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের ফলে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
আজ বুধবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এ অভিযোগ গঠন করেন। একইসঙ্গে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
এদিন কারাগার থেকে আসামি মাদানীকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আইনজীবীর মাধ্যমে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর এ মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি চার্জ গঠনের শুনানির দিন ঠিক করেন। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় চার্জগঠনের জন্য নতুন তারিখ ধার্য করেন ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইকবাল হোসেন। চার্জগঠন শুনানি জন্য ২৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ এপ্রিল মধ্যরাতে তাকে নেত্রকোনার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এরপর গাজীপুরের গাছা থানায় র্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলায় রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮ ও ৩১ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার অভিযোগে ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতিতে আঘাত করে আক্রমণাত্মক ও মিথ্যা ভীতি প্রদর্শন, তথ্য–উপাত্ত ইলেকট্রনিকস বিন্যাসে প্রকাশ ও সম্প্রচার করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটানোর অপরাধের কথা বলা হয়েছে।