সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানকে ‘ডাকাত’ বলে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার জন্য পাঁচ লাখ টাকার মিশন ছিল টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের। এরই অংশ হিসেবে মসজিদের মাইকে ‘ডাকাত’ বলে ঘোষণাও দেওয়া হয়েছিল। সেখানে হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ হয়। পরে শামলাপুর বাজারের কাছে পুলিশ চেকপোস্টে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকতের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম মামলার রায়ের আগের দিন রোববার (৩০ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য
ফরিদুল আলম বলেন, ‘২০২০ সালের ৩১ জুলাই মেজর সিনহা তার সহযোগী সিফাতকে নিয়ে টেকনাফের বাহারছড়ার নারিচবনিয়া মুইন্না পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করতে গিয়েছিলেন। তখন প্রদীপ ও লিয়াকত ‘ডাকাত’ বলে গণপিটুনি দিয়ে সিনহাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। ওই এলাকার মাথাভাঙ্গা মসজিদের ইমাম হাফেজ জহিরুল ইসলাম বিষয়টি দেখে ফেলায় হত্যাচেষ্টার মিশন ব্যর্থ হয়। পরে পুলিশের সোর্স বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন মসজিদের ইমামকে ওসি প্রদীপের কথা বলে পাঁচ লাখ টাকার অফার দেন। কিন্তু ইমাম জহিরুল এতে রাজি হননি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওসি প্রদীপ পরিকল্পিতভাবে মেজর সিনহাকে হত্যা করেছে। হত্যার পরিকল্পনার কথা প্রদীপ ও লিয়াকতের পৃথক জিডিতে তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। এটি আমরা আদালতে সন্দেহতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছি। আমরা আদালতকে বলেছি আইনের পোশাক পরে আরও কেউ যাতে বেআইনি কাজ কাজ করার সাহস না পায়; সেজন্য অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। আমরা আশা করি, আদালত অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেবেন।’
ফরিদুল আলমের ভাষ্যমতে, ‘ওসি প্রদীপ টেকনাফে চাঁদাবাজি, ক্রসফায়ার ও গুমসহ ধারাবাহিকভাবে নানা অপরাধ করে আসছিল। সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান ‘জাস্ট গো’ নামে ডকুমেন্টারি বানানোর সময় ভুক্তভোগীরা ওসি প্রদীপের অপরাধের বিষয়ে মেজরকে প্রতিবেদন করতে অনুরোধ করেন। তখন মেজর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেন। সেই সঙ্গে প্রদীপের বিভিন্ন অপরাধ নিয়ে ভুক্তভোগীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করেন। বিষয়টি ওসি প্রদীপ জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হন। এরপর তাকে হত্যার পরিকল্পনার নীলনকশা তৈরি করে ওসি প্রদীপ।’
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে নয়টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। তাঁর সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলামকে (সিফাত) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তাঁর ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করে। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।
সিনহা হত্যায় মামলা চারটি
সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। তিনটি মামলার দুটি মাদক রাখার অভিযোগে এবং একটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে।
এ ঘটনায় হত্যা মামলাটি করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। ওই বছরের ৫ আগস্ট আদালতে করা ওই মামলায় তিনি টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ পুলিশের নয় সদস্যকে আসামি করেন।
চারটি মামলারই তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব। পরে র্যাব এ ঘটনায় প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁদের ১১ জন পুলিশ সদস্য ও ৩ জন গ্রামবাসী।
পুলিশের করা তিনটি মামলার তদন্তে উত্থাপিত অভিযোগের কোনো সত্যতা না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে র্যাব। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে আসামি করে কক্সবাজার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় র্যাব।
মামলার আসামিরা হলেন
টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের এএসআই মো. লিটন মিয়া, টেকনাফ থানার কনস্টেবল ছাফানুল করিম, মো. কামাল হোসাইন আজাদ, মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের তিন ব্যক্তি মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য-এসআই মো. শাহজাহান আলী, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও কনস্টেবল মো. রাজীব হোসেন এবং অপর দুই আসামি হলেন কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও কনস্টেবল সাগর দেব। আসামিদের মধ্যে প্রথম ১৫ জন কারাগারে আছেন। আসামির মধ্যে ৯ জন জেলা পুলিশের সদস্য। এ ছাড়া ৩ জন মারিশবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের সোর্স।
আদালতে সাত আসামির আত্মসমর্পণ
২০২০ সালের ৬ আগস্ট ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকতসহ মামলার আসামি সাত পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তদন্তে নেমে হত্যার ঘটনায় স্থানীয় তিন বাসিন্দা, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্য ও ওসি প্রদীপের দেহরক্ষীসহ আরও সাত জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি কনস্টেবল সাগর দেবের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে আলোচিত এই মামলার ১৫ আসামির সবাই আইনের আওতায় আসে।
পাশাপাশি সিনহা নিহতের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে অতিরিক্ত ডিআইজি এবং লে. কর্নেল মর্যাদার একজন সেনা কর্মকর্তাকে সদস্য করে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। পরে ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খাইরুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ১২ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন । তবে ওসি প্রদীপ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি। এর আগে আসামিদের তিন দফায় ১২ থেকে ১৫ দিন রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল।
আট দফায় ৬৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
গত বছরের ২৭ জুন প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এই মামলার বিচার শুরু হয়। অভিযোগপত্রে থাকা ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। ২৩ আগস্ট থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮ দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এর মধ্যে প্রথম দফায় ২৩ থেকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনে দুই জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় দফায় ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয় চার জনের। তৃতীয় দফায় ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে জেরা সম্পন্ন হয় আট জনের। চতুর্থ দফায় ২৮ ও ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা করা হয় ছয় জনের। পঞ্চম দফায় ১০ থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়। ষষ্ঠ দফায় ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত তিন দিনে সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয় ২৪ জনের।
সপ্তম দফায় ১৫ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ছয় জন সাক্ষ্য দেন। এদের মধ্যে পাঁচ জনের জেরা সম্পন্ন হলেও তদন্ত কর্মকর্তার জেরা অসম্পন্ন ছিল। সর্বশেষ অষ্টম দফায় ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন দিনে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়।
এরপর ৬ ও ৭ ডিসেম্বর আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। সর্বশেষে ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত মামলায় উভয়পক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন। যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য ৩১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
প্রদীপ কুমার ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড
সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আলোচিত এই মামলায় আজ সোমবার (৩১ জানুয়ারি) কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।
পাশাপাশি সিনহাকে হত্যায় সহযোগিতা এবং ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্য এবং পুলিশের তিন সোর্সকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেবের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিনকে যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।
মামলার ১৫ আসামির মধ্যে বাকি চার পুলিশ সদস্য এবং তিন এপিবিএন সদস্যকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত।
এদিন বেলা আড়াইটার কিছু আগে এজলাসে বসেন। আসামিদের নাম ডাকার পর ৩০০ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক।
এর আগে বেলা ২টায় একটি প্রিজন ভ্যানে করে ১৫ আসামিকে কারাগার থেকে কক্সবাজারের জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে। পরে লাইন ধরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় এজলাস কক্ষে, দাঁড় করানো হয় কাঠগড়ায়।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
রায় ঘোষণার আগে বিচারক পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘আমি মেজর সিনহা হত্যা মামলার বিভিন্ন ইস্যু ও খুঁটিনাটি বিষয় খোঁজার চেষ্টা করেছি। এতে এপিবিএনের তিন সদস্য দায়িত্বে ছিলেন। এ তিন জনই প্রথমে সিনহার গাড়িটি আটকানোর পর ছেড়ে দেন। পরে পুলিশ পুনরায় গাড়িটি আটকালো এবং ১০ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে গুলি করা হয়। এতে প্রমাণিত হয় সিনহা হত্যা একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।’
বিচারকের পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়- সিনহার সহযোগী সাহেদুল ইসলাম সিফাতের সাক্ষ্যের বিবরণীতে জানা যায় চার রাউন্ড গুলি করে লিয়াকত আলী। এছাড়া লিয়াকতের জবানবন্দিতে ওসি প্রদীপ সিনহার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন বলেও জানা যায়। সিনহার হাতে পিস্তল আছে ভেবে লিয়াকত গুলি করার কথা স্বীকারও করেছেন। শেষ পর্যন্ত ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিনহার বামপাশে লাথি মারেন এবং সিনহা নিস্তেজ হয়ে যান।
পর্যবেক্ষণে আরও বলা হয়- একইভাবে এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের জবানবন্দিতেও উঠে আসে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি। জবানবন্দিতে নন্দ দুলাল বলেন- লিয়াকত আগে থেকে সিলভার কালারের গাড়ি থামাতে বলেন। পরে দুই হাত উঁচু করে সামনের দিকে ঝুঁকে থাকা অবস্থায় সিনহাকে চার রাউন্ড গুলি করেন লিয়াকত। প্রদীপ ঘটনাস্থলে এসে বলেন, অনেক কষ্টের পর তোকে পেয়েছি। এরপর বুকে বাম পাশে লাথি মারেন এবং সিনহা নিস্তেজ হয়ে যান। ওসি প্রদীপের ভয়ে জব্দ তালিকা তৈরি করি। মূলত ওসি প্রদীপ যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন আমি সেভাবে করেছি। এতে করে হত্যায় ঘটনাস্থলে লিয়াকত, নন্দ দুলালের সক্রিয় ভূমিকা রাখার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।