আইনের অপব্যবহার, বিচারপ্রার্থীদের হয়রানিসহ অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে পটুয়াখালীর দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে আইনজীবীরা।
দশমিনা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলন থেকে তাঁদের দ্রুত প্রত্যাহার করে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
ওই তিন পুলিশ সদস্য হলেন- দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মেহেদী হাসান, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফজলুল আলম ও এসআই মো. মেহেদী হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে দশমিনা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. সিকদার গোলাম মোস্তফা ১৫ আইনজীবীদের স্বাক্ষরিত লিখিত ও মৌখিক বক্তব্য পাঠ করেন। লিখিত অভিযোগে অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা বলেন, মামলা করতে না চাইলেও দশমিনা থানার ওসি মেহেদী ১৬ বছরের এক কিশোরী মেয়েকে সারা রাত থানায় রেখে মানসিক চাপ সৃষ্টি করে মামলা ও জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেন। তাঁকে ৩৪ থেকে ৩৫ ঘণ্টা পর আদালতে উপস্থাপন করেন।
দশমিনা পুলিশের বিরুদ্ধে অসংখ্য মানুষকে হয়রানির অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আদালতের আদেশ ছাড়া ঘরবাড়ি নির্মাণের কাজ বন্ধ, ধান কাটা বন্ধ, গাছ কাটা বন্ধ ও চাষাবাদ বন্ধ করে দিয়ে তারা অসংখ্য মানুষকে হয়রানি করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মুক্তিযোদ্ধা আবু সালেহ মো. জাফর থানা কমপ্লেক্সের গোলঘরে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে স্ট্রোক করেন।
এ ছাড়া অভিযোগ করা হয়, গত ১০ এপ্রিল আইনজীবী আবু তাহের জুয়েলের চেম্বারে প্রবেশ করে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর কোনো আসামি গ্রেপ্তারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে ওসি মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘১০ এপ্রিল আইনজীবী আবু তাহের জুয়েলের চেম্বারে হামলার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক। তবে পুলিশ আসামি গ্রেপ্তারে তৎপর। মূলত পলাতক থাকায় ওই মামলার আসামি গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না বলে আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ। অন্য কোনো ঘটনা নয়। অন্য সব অভিযোগ আদৌ সত্য নয়।’
এ ব্যাপারে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পিপিএমের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।