মিয়ানমারের ডি ফেক্টো নেত্রী অং সান সু চিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আসালত। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজ বুধবার (২৭ এপ্রিল) এই রায় দেওয়া। মামলায় যুক্ত এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জান্তা কর্তৃক মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলের পর সু চির বিরুদ্ধে ১১টি দুর্নীতির মামলা করা হয়। সেসব মামলার প্রথমটির রায় হলো আজ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ইয়াংগনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফিও মিন থেইনের কাছ থেকে ৬ লাখ ডলার এবং ১১ দশমিক ৪ কেজি সোনা ঘুষ নেওয়ার মামলায় এ রায় এসেছে।
ফিও মিন থেইনকে একসময় সু চির উত্তরসূরী হিসেবে বিবেচনা করা হত। গত বছরের অক্টোবরে দেওয়া সাক্ষ্যে তিনি সু চিকে ঘুষ দেওয়ার কথা ‘স্বীকার’ করেছিলেন। তবে ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন সু চি।
এর আগে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উসকানি দেওয়া এবং করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগে এক মামলায় গত ডিসেম্বরে সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে তা কমিয়ে দুই বছর করা হয়। এছাড়া অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও ব্যবহারের আরেক মামলায় জানুয়ারিতে তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
তবে এখনো তাকে কারাগারে পাঠানো হয়নি। বাকি মামলাগুলো মোকাবিলা করার জন্য গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে এই নোবেল জয়ীকে। জান্তা সরকারের কড়াকড়ির মধ্যেই সু চির এই বিচারকার্য হচ্ছে। সেখানে কোনো গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত নেই। এমনকি সু চির আইনজীবীদের গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলাও নিষেধ।