শেরপুরে ১৩ বছর বয়সী মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের দায়ে এক যুবককে ৪৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে এ মামলার অপর দুই আসামির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
আসামির অনুপস্থিতিতে রোববার (৮ মে) বিকেলে শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্ত যুবকের নাম আবুল হোসেন (২৭)। তিনি সদর উপজেলার যোগনীবাগ ভিটাকান্দা গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে।
শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, ধর্ষণের দায়ে আসামি আবুল হোসেনকে ৩০ বছর কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সাজার আদেশ দিয়েছেন আলাদত।
অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বলেন, একই মামলায় অপহরণের ঘটনাটি প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক ওই আসামিকে আরো ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, মাদ্রাসায় যাতায়াতের পথে বখাটে আবুল মেয়েটিকে প্রেম নিবেদন ও উত্যক্ত করতো। ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় যোগনীমুড়া খোরশেদের বাড়ীর সামনে থেকে মেয়েটিকে অপহরণ করে আবুল। পরে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তাকে তুলে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। এসময় বিভিন্নস্থানে রেখে সে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে মেয়েটির মা আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশ দেন আদালত। ওই বছরের ১০ অক্টোবর পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও আবুল পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ২২ ধারায় মেয়েটি জবানবন্দি দেয়। তদন্ত শেষে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর সদর থানার এস আই আনোয়ারুল ইসলাম তিনজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।