মানিকগঞ্জের ঘিওরে স্ত্রী ও দুই মেয়েকে গলা কেটে হত্যা মামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোমবার (৯ মে) এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর আগে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুন নূর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন।
ঘিওর থানার ওসি মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেল (৪২) রোববার ভোরে ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রী ও দুই কন্যাকে প্রথমে দা দিয়ে আঘাত করে। এরপর বালিশচাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করার পর ধারালো অস্ত্র (দা) দিয়ে স্ত্রী লাভলী আক্তার (৩৯), বড় মেয়ে লাজলী আক্তার ছোঁয়া (১৬) ও ছোট মেয়ে ইহা মনি কথাকে (১২) গলা কেটে হত্যা করে।
মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘিওর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ঘটনাস্থল থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র (ধারালো দা) ও রক্তমাখা জামা-কাপড় জব্দ করার পাশাপাশি তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে হত্যার সঙ্গে জড়িত আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেলকে (৪২) গ্রেফতার করা হয়। এরপর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ঘিওর থানার মামলা করা হয়।
গ্রেফতার আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক রেকর্ড করানো হয় এবং ঘটনায় সাক্ষীদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করাসহ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে মামলার ঘটনায় মৃত লাভলী আক্তার, লাজলী আক্তার ছোঁয়া ও ইহা মনি কথার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ করা হয়।
তদন্তে জানা যায়, আসামি আসাদুজ্জামান ওরফে রুবেল (৪২) নানান ধরনের ঋণে জর্জরিত ছিলেন। স্ত্রী-কন্যাদের নিয়ে সংসার চালানো ও ঋণ পরিশোধের চিন্তায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে এ জঘন্য হত্যাকাণ্ড ঘটান।