সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের ফাইলিং ও এফিডেভিট শাখায় জাল কোর্ট ফি ও স্ট্যাম্প উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ মে) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের সহযোগিতায় সড়ক ভবন ও সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মোঃ বজলুর রহমান ও হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রাব্বানী সহযোগিতা করেছেন।
অভিযানে জাল কোর্ট ফি, স্ট্যাম্প বিক্রি ও সরবরাহ করায় তিনজনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন- ভেন্ডার ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন (৩৭), মো. মনির হোসেন (৪০) ও সরবরাহকারী জাকির হোসেন (৩০)। তাদেরকে সিআইডির হাতে তুলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
পরে সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে জাল কোর্ট ফি ব্যবহার বন্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ট্রেজারির সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। আজ জাল শনাক্তকারী মেশিনের সাহায্যে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের ফাইলিং ও এফিডেভিট শাখা থেকে কোর্ট ফি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
তিনি বলেন, নমুনা সংগ্রহের পর সিআইডির দুটি বিশেষ টিম সড়ক ভবনের ফাইলিং, এফিডেভিট শাখা ও সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের ভেন্ডার ব্যবসায়ীদের দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে জাল কোর্ট ফি উদ্ধার, বিক্রি ও সরবরাহের সঙ্গে জড়িত থাকার ঘটনায় ওই তিনজনকে আটক করা হয়।
সাইফুর রহমান বলেন, জাল কোর্ট ফি ব্যবহার রোধে প্রধান বিচারপতি কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। কারণ এই জাল কোর্ট ফি ব্যবহারের ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।