নিজেকে উচ্চ আদালতের বিচারপতি পরিচয় দিয়ে আটক হওয়া বিপ্লব প্রধানকে (৪০) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ শনিবার (২১ মে) বিকেলে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ আমলি আদালতের বিচারক এ নির্দেশ দেন।
এর আগে তার বিরুদ্ধে শুক্রবার (২০ মে) রাতে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রুহুল আমিন বাদী হয়ে সরকারি কর্মচারী পরিচয় দেওয়ার কারণে ১৭০/৪১৯ দণ্ডবিধিতে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল ফজল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বিপ্লব প্রধানের নামে মতলব থানায় এর আগে দুটি চেক ডিজঅনার মামলার তিনটি ওয়ারেন্ট ছিল। নতুন মামলা ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবেও তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
গতকাল শুক্রবার (২০ মে) দুপুরে মতলব পৌরসভার উত্তর দিঘলদী গ্রামের শমসের আলী প্রধানীয়ার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
জানা গেছে, নিজেকে উচ্চ আদালতের একজন বিচারপতি পরিচয় দিয়ে শুক্রবার ঢাকা থেকে একটি গাড়ি ভাড়া নিয়ে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় রওনা দেন মো. বিপ্লব প্রধান (৪০)। পথে বিভিন্ন জায়গায় বিচারপতির প্রটোকল ও সুবিধাও নেন। কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকায় পৌঁছালে সেখানকার ট্রাফিক পুলিশের কাছেও নিজেকে বিচারপতি হিসেবে পরিচয় দেন।
পরে কুমিল্লা পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষ (কন্ট্রোল রুম) থেকে মুঠোফোনে মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশকে জানানো হয়, সেখানে একজন বিচারপতি যাচ্ছেন। এরপর পুলিশ বিপ্লব প্রধানকে প্রটোকল দিয়ে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেন। সেখানে যাওয়ার পর পুলিশ জানতে পারে, বিপ্লব প্রধান আসলে বিচারপতি নন। পরে সেখান থেকে তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আটক বিপ্লব প্রধান উত্তর দিঘলদী গ্রামের মৃত মাহাবুব প্রধানের ছেলে। বিপ্লব উপজেলা সদরের কলেজ গেট এলাকায় একটি গ্রিল ও আলমারি তৈরির কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি নিজেকে ভুয়া বিচারপতি হিসেবে পরিচয় দেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিপ্লব প্রধান এর আগেও এ রকম ঘটনা ঘটিয়েছেন। তিনি মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ। কয়েক বছর আগে নিজেকে ‘ইঞ্জিনিয়ার’ বলে দাবি করেন। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে নামের আগে ইঞ্জিনিয়ার ব্যবহার করতেন।