দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ করে দেশের শীর্ষস্থানীয় ১১৬ জন আলেম ও ধর্মীয় বক্তাকে অপদস্ত করায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সমন্বয়ে গঠিত গণকমিশনের নেতাদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন আইনজীবীরা।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনের সামনের চত্বরে সোমবার (২৩ মে) আইনজীবীদের সংগঠন ভয়েস অব ল’ইয়ার্স বাংলাদেশের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে অর্ধশতাধিক আইনজীবী অংশ নেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের মুখপাত্র সাবেক সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আশরাফুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, শাহ আহমেদ বাদল, জুলফিকার আলম শিমুল, জসীম উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা, ১১৬ জন আলেমের বিরুদ্ধে দুদকের কাছে গণকমিশনের প্রতিবেদন দেওয়ার নিন্দা জানান। বক্তারা ইসলামের বিরুদ্ধে এবং দেশের আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে একটি গোষ্ঠীর অবস্থান নেওয়ার প্রতিবাদ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সমন্বয়ে গঠিত গণকমিশন এসব প্রতিবেদন পেশ করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা পাঁয়তারা চালাচ্ছে। ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সারা বিশ্বে যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তাদের দোসর হিসেবে এরা কাজ করছে।
তিনি গণকমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সঙ্গে আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও আটক আলেমদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানান।
আইনজীবী আশরাফুজ্জামান বলেন, গণকমিশনের প্রতিবেদনে যেসব মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে আলেম-ওলামাদের হেয়প্রতিপন্ন করা হয়েছে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে কাজ করে আসা কিছু ব্যক্তি গণকমিশন গঠন করেন। গত ১২ মে দুদকে তারা যে শ্বেতপত্র দিয়েছেন তাতে ১১৬ জন আলেমের বিরুদ্ধে ‘ধর্মব্যবসা, সারাদেশে মৌলবাদী তৎপরতা, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, অনিয়ম, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিং’ -এর অভিযোগ আনা হয়েছে।