আদালতে আইনজীবীরা সাদা শার্টের ওপর কালো কোট ও কালো গাউন পরেন। এটা নিছক প্রথা নয়। সুনির্দিষ্ট এ পোশাক বা ড্রেস কোড মানার বাধ্যবাধকতা আছে আইনজীবীদের।
কিন্তু জ্যৈষ্ঠয়ের দাবদাহ তো প্রথা বা আইনের তোয়াক্কা করে না। ফলে আদালতে মামলা পরিচালনাকালে প্রচণ্ড গরমে আইনজীবীদের এই পোশাক হয়ে ওঠে অসহনীয় অস্বস্তির নিয়ামক।
এপ্রেক্ষিতে অন্তত গ্রীষ্মকালে আইনজীবীদের খানিকটা স্বস্তি প্রদানে পোশাক পরিধান সংক্রান্ত বিধি কিছুটা শিথিলের দাবি জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আজ বুধবার (২৫ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ দাবি জানান।
আইনজীবীদের পরিধেয় পোশাকের স্তর তুলে ধরে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, এখন তাপমাত্রা প্রায় ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই প্রচণ্ড গরমে আইনজীবীদের গাউন, কালো কোট, শার্ট, কলার ব্যান্ড ও স্যান্ডো গেঞ্জি পরতে হয়। এতো কিছু শরীরে জড়িয়ে গরমে মাথা আর কাজ করে না। মাথাই যদি ঠিক না থাকে তবে ক্লায়েন্টকে (মক্কেল) যথাযথ প্রতিকার পাইয়ে দেওয়া সম্ভব না। যা আদতে পুরো আইনপেশার ওপরই প্রভাব ফেলছে।
করোনাকালে পোশাকবিধি শিথিল করার উদাহরণ টেনে সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, আমার দাবি হচ্ছে- একইভাবে শুধু গ্রীষ্মকালে অন্তত আইনজীবীদের গাউন পরার বাধ্যবাধ্যকতা শিথিল করা হোক। যাতে এই গরমে আইনজীবীদের গাউন পরতে না হয়। শীত মৌসুমে আবার গাউন পরার বাধ্যবাধকতা জারি করলে অসুবিধা নেই।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধান বিচারপতিসহ আইনজীবী নেতৃবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট অভিভাবক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষকে কষ্ট দিয়ে সংস্কৃতি ধরে রাখার কোন মানে হয়না। অনেকেই হয়তো বলবেন যে এই পোশাক আইন পেশাজীবীদের পরিচায়ক, আমিও এটা মানি। কিন্তু অন্তত এই গরমের সময় শুধু গাউনটাও যদি না পরার ব্যবস্থা করা হয় খানিকটা স্বস্তি পাবেন আইনজীবীরা।
এসময় আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত থাকা প্রচণ্ড গরমে অস্থির ভুক্তভোগী একাধিক আইনজীবী ব্যারিস্টার সুমনের সাথে সহমত প্রকাশ করেন।