মানিকগঞ্জের শিবালয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ সচিব নিহতের ঘটনায় ১২ বছর পর রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। রায়ে বাসচালককে ৯ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আদালত আসামিকে ২ লাখ ৭ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৫ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আসামির অনুপস্থিতিতে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ উৎপল ভট্টাচার্য্য মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে এই রায় দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাসচালক আনোয়ার হোসেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কামারখোলা গ্রামের বাসিন্দা।
রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত সরকারি কৌসুঁলি (এপিপি) মথুরনাথ সরকার রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলার সকল সাক্ষী ও তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এই রায় দেন। জরিমানার অর্থ নিহত ২ পরিবারের মধ্যে সমবণ্টনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৩১ জুলাই সকালে অফিসিয়াল গাড়িতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব রাজিয়া বেগম এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সংস্থার (বিসিক) চেয়ারম্যান ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সিদ্দিকুর রহমান। তাদের সঙ্গে ছিলেন গাড়িচালক ফজলুল হক ও দেহরক্ষী মো. ফজলুল।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের শিবালয়ের উথুলী সংযোগ মোড় এলাকায় দ্রুতি পরিবহনের একটি বাস তাদের গাড়িটিকে চাপা দিলে তারা গুরুতর আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা শহরের সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ সচিবকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত গাড়ির চালক ও দেহরক্ষীকে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পূনর্বাসন কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় বিসিকের অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) শামসুল হক বাদী হয়ে শিবালয় থানায় একটি মামলা করেন। পরে এ মামলায় বাসের চালক আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জামিনে বের হওয়ার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।
একই বছরের ১৯ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বরঙ্গাইল হাইওয়ে ফাঁড়ির তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) নুরুল ইসলাম ভূইঁয়া আসামি বাসচালক আনোয়ারের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এ মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।