জন্ম-মৃত্যু সনদ পাওয়ার ক্ষেত্রে নাগরিকদের ভোগান্তি রোধে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা এবং খামখেয়ালিপনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, টা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার (২৯ মে) বিচারপতি মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট সার্ভার থেকে এ সংক্রান্ত বিশাল পরিমাণ ডাটা গায়েব হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে তদন্ত না করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং সাথে সাথে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় তথ্যশালা (ডেটাবেজ) তৈরি করতে বিবাদীদের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চেয়েছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. তানভীর আহমেদ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রিট আবেদনকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, রুল জারির পাশাপাশি আদালত অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন। অন্তর্বর্তীকালীন আদেশে জন্ম ও মৃত্যু সনদ সংক্রান্ত যে বিশাল পরিমাণ ডাটা সার্ভার থেকে গায়েব হয়েছে সেগুলো তদন্তপূর্বক বিবাদীদের আগামী এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন।
এর আগে কয়েক কোটি মানুষের জন্মনিবন্ধন তথ্য সার্ভারেই নেই- এমন অভিযোগ অনুসন্ধান/তদন্ত করে পদক্ষেপ নিতে সরকারকে আইনি নোটিশ প্রেরণ করা হয়। একইসঙ্গে নোটিশে জন্মনিবন্ধন সনদ পেতে নাগরিকদের হয়রানি বন্ধে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
গত ৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ এ নোটিশ প্রেরণ করেন। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার জেনারেল, পরিকল্পনা-পরিবীক্ষণ, মূল্যায়ন ও পরিদর্শন কার্যালয়ের মহাপরিচালক এবং আইন বিভাগের যুগ্ম সচিবের দপ্তরে এ নোটিশ প্রেরণ করা হয়।
নোটিশে ১২ মার্চ ২০২২ সালে দৈনিক প্রথম আলোতে ‘জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে নাগরিকেরা’ এবং ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বিবিসি বাংলা ‘জন্মসনদ: বাংলাদেশে কয়েক কোটি মানুষের জন্মনিবন্ধন তথ্য সার্ভারেই নেই’ শীর্ষক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন যুক্ত করা হয়।
নোটিশ অনুসারে পদক্ষেপ না নেওয়ায় আইনগত ব্যবস্থার পরবর্তী পদক্ষেপ অনুযায়ী প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ রুল জারি করেন।