রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চ এবং পন্টুনের মধ্যে চাপা খেয়ে পা হারানো দিনমজুর মো. কবিরকে মানসিক ও স্বাস্থ্যগত সব চিকিৎসাসহ অন্যান্য খরচ বাবদ এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে আইনি (লিগ্যাল) নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আজ রোববার (২৯ মে) কবিরের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তানভির আহমেদ এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সচিব, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান ও পূবালী-১২ লঞ্চের মালিক আলী আজগর খালাসীসহ মোট আটজনকে বিবাদী করা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, রাজধানীর নবাবপুরে বৈদ্যুতিক পাখার দোকানে দিনমজুরের কাজ করতেন কবির হোসেন (২৮)। ঈদুল ফিতরের একদিন আগে ১ মে সকালে স্ত্রী, মেয়ে ও তিন বোনকে নিয়ে সদরঘাটে আসেন কবির হোসেন। ঘাটে পটুয়াখালীর একটি লঞ্চ থাকলেও সেটি কানায় কানায় ভরা থাকায় স্বজনদের নিয়ে লঞ্চে উঠতে পারেননি তিনি।
অপেক্ষার পর পূবালী-১২ লঞ্চটি ঘাটে ভিড়তে শুরু করে। বেশি গতি থাকায় এটি পন্টুনে এসে জোরে ধাক্কা দেয়। অন্যদিকে যাত্রীর প্রচণ্ড চাপ পন্টুনে। এ সময় লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে চাপ খেয়ে কবির হোসেনের বাঁ পা হাঁটুর নিচ থেকে প্রায় আলাদা হয়ে যায়। কেটে ফেলতে হয় বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ। আর শাহজালাল নামে আরেক ব্যক্তির ডান পা হাঁটুর নিচ থেকে ভেঙে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
নোটিশ প্রেরণের বিষয়টি ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী তানভির আহমেদ। তিনি বলেন, নোটিশ পাওয়ার পর তিন দিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে, ভিকটিমের চিকিৎসার জন্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঁচ লাখ টাকা প্রদান এবং তার মানসিক ও শারীরিক ক্ষতির জন্য অবশিষ্ট ৯৫ লাখ টাকা সাতদিনের মধ্যে প্রদান করতে বলা হয়েছে। তা না হলে রিট আবেদন করা হবে।