সুনামগঞ্জে আদালতে একটি মামলার হাজিরা দিতে এসে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তিকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটে বলে নিহতের পরিবার জানায়।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতি ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আদালত চত্বরের আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা হতভম্ব হয়ে পড়েন।
নিহত ব্যক্তির নাম মিজানুর রহমান ওরফে খোকন (৪৫)। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের গলখাল গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটক তিনজন হলেন- ফয়েজ মিয়া (৩০), সাজিদ মিয়া (৩২) ও সেবুল মিয়া (২৫)। তারা খোকনের গ্রামের বাসিন্দা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গলখাল গ্রামের মিজানুর রহমান ও ফয়েজ মিয়ার পরিবারের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলাও আছে। বৃহস্পতিবার একটি মামলায় সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা আদালতে হাজিরা দিতে আসেন মিজানুর রহমান।
বেলা একটার দিকে আদালত এলাকার আইনজীবী সহকারী সমিতি ভবনের সামনে মিজানুর রহমানের সঙ্গে ফয়েজ মিয়ার দেখা হয়। তখন ফয়েজ মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের আরও কয়েকজন ছিলেন। একা পেয়ে মিজানুরকে তাঁরা প্রথমে কিলঘুষি মারতে থাকেন। একপর্যায়ে ফয়েজ মিয়া ছুরি দিয়ে মিজানুর রহমানকে উপর্যুপরি আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
এ সময় উপস্থিত লোকজন ফয়েজ মিয়া, একই গ্রামের সাজিদ মিয়া ও সেবুল মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
নিহত মিজানুর রহমানের চাচাতো ভাই মাসুক মিয়া জানান, তিনি ও মিজান সকালে মামলাসংক্রান্ত কাজে আদালতে এসেছিলেন। যাঁরা মিজানুরকে মেরেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মিজান আদালতে মামলা করেছিলেন। এই আক্রোশ থেকে তাঁরা তাঁকে হত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবু সাইদ বলেন, মামলাসংক্রান্ত বিরোধের জেরেই মিজানুর রহমান প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।