সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে সরকারি সব দপ্তরে বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো এবং জ্বালানি খাতের বাজেট বরাদ্দ ব্যয় হ্রাসে সম্প্রতি কয়েক দফা সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় আইন ও বিচার বিভাগের আওতাধীন সকল দপ্তর, অধিদপ্তর, সংস্থা, আদালত ও ট্রাইব্যুনালে বিদ্যুৎ সাশ্রয় সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৫ জুলাই) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৫ থেকে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।
মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন) মো. একরামুল হক শামীমের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দের ২৫ শতাংশ ব্যয় হ্রাস করার জন্য আইন ও বিচার বিভাগের আওতাধীন সকল দপ্তর, অধিদপ্তর, সংস্থা, আদালত ও ট্রাইব্যুনালকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, সরকারি সব দপ্তরে বিদ্যুতের ২৫ শতাংশ ব্যবহার কমানো এবং জ্বালানি খাতের বাজেট বরাদ্দের ২০ শতাংশ কম ব্যবহারের জন্য পরিপত্র জারি করাসহ আট দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতির অংশ হিসেবে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সরকারের ব্যয় সাশ্রয়ে কার্যকর কর্মপন্থা নিরূপণে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় গৃহীত বাকি সিদ্ধান্তগুলো হলো- অনিবার্য না হলে শারীরিক উপস্থিতিতে সভা পরিহার করতে হবে। অধিকাংশ সভা অনলাইনে করতে হবে। অত্যাবশ্যক না হলে বিদেশ ভ্রমণ যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে বাজার মনিটরিং, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মজুতদারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্যান্য পদক্ষেপ জোরদার করতে হবে।
এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী পরিবহনে ব্যক্তিগত যানবাহনের ব্যবহার যৌক্তিককরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে। আর অভ্যন্তরীণ সম্পদ সংগ্রহ বাড়াতে অর্থবছরের শুরু থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
এছাড়া প্রতিটি মন্ত্রণালয় নিজস্ব ক্রয় পরিকল্পনা পুনঃ পর্যালোচনা করে রাজস্ব ব্যয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবে।