দীর্ঘ ১৮ বছরের বিচারিক জীবনের ইতি টানলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোঃ মিফতাহ উদ্দীন চৌধুরী। সোমবার (২৫ জুলাই) তাঁর বয়স ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় অবসরে গেলেন তিনি।
বিচারক হিসেবে বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিনের শেষ কর্মদিবসে সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে চা চক্রের আয়োজন করা হয়। এসময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও অন্যান্য বিচারপতিগণ তাঁকে বিদায় সংবর্ধনা জানান।
মোঃ মিফতাহ উদ্দীন চৌধুরী ১৯৫৫ সালের ২৬ জুলাই এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মোঃ আব্দুল আহাদ চৌধুরী, মাতা রিজিয়া বেগম চৌধুরী।
মিফতাহ উদ্দীন আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করার পর ১৯৮১ সালে বার কাউন্সিলের সনদ লাভের পর অধস্তন আদালতে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন। তিন বছর পর ১৯৮৪ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন এবং হাইকোর্ট বিভাগে প্র্যাকটিস শুরু করেন। এরপর ২০০১ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৩ সালে তিনি অস্থায়ী বিচারপতি হিসেবে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। দুই বছর সাফল্যের সাথে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার পর ২০০৫ সালে একই বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। দীর্ঘ দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে উচ্চ আদালতে বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এই সময়ের মধ্যে বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ মামলার রায় প্রদান করেছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি রায় হচ্ছে- শুধু বসতভিটাই নয়, হিন্দু বিধবা নারীরা স্বামীর সব সম্পত্তিতে ভাগ পাবেন।