আর্থিক দুর্নীতি দমনে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) ক্ষমতা আরো বাড়ল। আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনে ইডির গ্রেফতারির অধিকারের স্বীকৃতি দিল দেশটির সুপ্রিম কোর্ট।
এখন থেকে আর্থিক দুর্নীতি দমন আইনে গ্রেফতারি থেকে শুরু করে, অন্যান্য একাধিক কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা ইডি, এমনই নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
পিএমএলএ আইনে ইডির ক্ষমতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আজ বুধবার (২৭ জুলাই) অধিকাংশ মামলা খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএম খানউলকারের বেঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুর্নীতির মামলায় তল্লাশি, গ্রেফতারির মতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারবে ইডি। গ্রেপ্তার, তল্লাশি, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে ইডি।
এদিকে আবেদনকারীরা প্রশ্ন করেছিলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের কোন কারণ না জানিয়ে বা প্রমাণ, নথি না দিয়ে গ্রেপ্তার করা অসাংবিধানিক। সুপ্রিম কোর্ট এই বক্তব্য খারিজ করে দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অভিযুক্তকে প্রমাণ বা নথি দেবার কোন প্রয়োজন নেই।
সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, গ্রেফতারি থেকে শুরু করে কোন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, কিংবা যে কোন ক্ষেত্রে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার আছে ইডির। এক্ষেত্রে গ্রেফতারের কারণ জানানো বাধ্যতামূলক নয়।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় বিরোধীদের একটা বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। কারণ বিরোধীদের বারবার অভিযোগ, ইডির মত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আর এই কারণেই ইডির ক্ষমতা নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। যার অধিকাংশ খারিজ করে দেওয়া হলো। সেই সঙ্গে ক্ষমতা বাড়ানো হলো ইডির ক্ষমতা।