নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরের কর্মকর্তা চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৭ জুলাই) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শুভ্রা চক্রবর্তী আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের এসআই সুকান্ত বিশ্বাস আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আর আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. আবু হানিফ জামিন আবেদন করেন। তবে শুনানির জন্য সময় চান তিনি।
এরপর বিচারক আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে ২৪ জুলাই রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে চন্দ্র শেখর হালদারকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। এরপর গত ২৫ জুলাই তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মাউশিতে ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য রাজধানীর ৬১টি কেন্দ্রে গত ১৩ মে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় মামলা হয় লালবাগ থানায়। মামলাটি করেন ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষক আবদুল খালেক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পরীক্ষা শুরু হয় দুপুর ৩টায়। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে সুমন জোয়াদ্দার নামের এক পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জোয়াদ্দার জানান, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দুপুর ২টা ১৮ মিনিটে তার মুঠোফোনে পটুয়াখালীর সাইফুল ও টাঙ্গাইলের খোকন উত্তরপত্র পাঠান।