চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএ পাস না করেও জাল সার্টিফিকেট দিয়ে ২০১১ সাল থেকে আইন পেশায় নিয়োজিত আব্দুর রহমান-২ নামের এক ব্যক্তির বার কাউন্সিল সনদ বাতিলের সুপারিশ করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি।
জেলা আইনজীবী সমিতির জরুরী এক সাধারণ সভায় সোমবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে তাঁকে জেলা সমিতি থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জোবদুল হক জানান, মো. আব্দুর রহমান-২ নামের এক ব্যক্তি বিএ পাস না করেও ভুয়া সনদ দাখিল করে আইন কলেজ থেকে এলএলবি পাস করেন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ নেন। তিনি ২০১১ সাল থেকে ওকালতি করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে বাবুল আক্তার নামে এক ব্যক্তি জেলা আইনজীবী সমিতি, দুদক ও আইন মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেন।
সমিতির সভাপতি বলেন, অভিযোগের পর জেলা আইনজীবী সমিতি তদন্ত শুরু করে। তদন্তে জানা যায় মো. আব্দুর রহমান-২ নামের ব্যক্তি বিএ পাসও করেননি। তিনি বিএ পাসের ভুয়া সনদ দিয়ে আইন পেশা আসেন। যে কারণে তার মো. আব্দুর রহমান-(২)’র সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁর আইন পেশার সনদ বাতিল করতে বার কাউন্সিলে সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বহিষ্কৃত মো. আব্দুর রহমান-(২) জেলা আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, আমি বিএ ইংরেজি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পর পুনরায় বোর্ড চ্যালেঞ্জ করে পাস করি। কিন্তু পাসের ফলাফল সংবলিত রেজাল্ট সিটটি দাখিল করা হয় নি। তবে আশা করি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আমি সেই কাগজ জেলা আইনজীবী সমিতিতে দাখিল করব। আমার সদস্য পদ পুনরায় ফিরে পাবো।
প্রসঙ্গত, ‘জাল সনদে ১২ বছর আইন পেশায়, অবাঞ্ছিত ঘোষণা’ -শিরোনামে গণমাধ্যমে একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে জাল সার্টিফিকেটের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর সরেজমিন তদন্তে যায় জেলা আইনজীবী সমিতির একটি প্রতিনিধি দল। পরে সত্যতা মেলায় সাময়িকভাবে অভিযুক্তকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।
একইসঙ্গে এক সপ্তাহের মধ্যে সনদের প্রয়োজনীয় প্রমাণ উপস্থাপনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি তা করতে ব্যর্থ হওয়ায় সোমবার সন্ধ্যায় মো. আব্দুর রহমানকে (২) স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়।