“আমানতের অর্ধ কোটি টাকা নিয়ে পালিয়েছে এনজিও” শিরোনামে গত ৯ অক্টোবর দৈনিক প্রথম আলো এবং মেহেরপুরের স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনগুলো আদালতের নজরে এলে তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি আমলে নেন।
একই সাথে কোনোরূপ ব্যর্থতা ছাড়া আগামী ১০ নভেম্বরের মধ্যে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (স্বয়ং) কে নির্দেশ প্রদান করেন।
মেহেরপুর সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্ গত মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) এই আদেশ প্রদান করেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদটি সঠিক হয়ে থাকলে তা সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা এবং অর্থ আত্মসাৎ যা শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে আদালত আদেশে উল্লেখ করেন। প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় শহরের ঠিক প্রাণকেন্দ্রে এভাবে ব্যবসার নামে প্রতারণা করে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও আদালত মন্তব্য করেন।
এর সাথে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনয়নের নিমিত্ত মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (স্বয়ং)-কে পাঁচ দফা নির্দেশনাসহ আগামী ১০ নভেম্বর এর মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রথম আলোর সংবাদ সূত্রে জন যায়, ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমানত সংগ্রহ করে প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়ে সোনালী ফাউন্ডেশন নামের একটি ভুয়া ‘এনজিও’ ব্যবসা গুটিয়ে পালিয়েছে। মেহেরপুর শহরের হোটেলবাজার এলাকায় অবস্থিত ওই এনজিও থেকে গত মঙ্গলবার সকালে গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে সেখানে গিয়ে প্রায় দেড় শ গ্রাহক এনজিওটির কার্যালয়ে তালা ও সাইনবোর্ডটি উধাও দেখতে পান। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন গ্রাহকদের অনেকেই।
জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোনালী ফাউন্ডেশন নামের কোনো এনজিওকে অধিদপ্তর থেকে নিবন্ধন দেওয়া হয়নি। গোপনে গজিয়েছে এ ভুয়া এনজিও।
সংবাদটি নজরে এলে মেহেরপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্ স্বপ্রণোদিত হয়ে এনজিও টির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন এবং তদন্তের জন্য মেহেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (স্বয়ং) কে নির্দেশ প্রদান করেন।