আদালতের নির্দেশে ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে বিয়ে হয়েছে বাদীর। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে যশোর আদালতের হাজতখানায় পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে এ বিয়ে হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলিসহ দুই পক্ষের আইনজীবীরা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, যশোরের মণিরামপুরের এক যুবক তার নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে একটি মেয়েকে বিয়ে করে। এরপরে তারা বিভিন্নস্থানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একসঙ্গে থাকতেন।
কিন্তু মেয়েটি যুবকের বাড়িতে যেতে চাইলে নানা তালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে যুবকটি। এমনকি ওই মেয়েটিকে আর বিয়ে করবে না বলেও জানানো হয়।
এ ঘটনার পর ৪ জানুয়ারি ধর্ষণের অভিযোগে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। ৫ জানুয়ারি পুলিশ যুবকটিকে আটক করে। এরপরই যুবকের আইনজীবী তার জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেন।
রোববার উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনানি শেষে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে আদালত প্রাঙ্গণেই তাদের বিয়ে দেওয়ার শর্তে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
পিপি এম ইদ্রিস আলী বলেন, বাদী ও আসামি পূর্ণবয়স্ক হওয়ায় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজী ডেকে উভয়পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে হাজতখানার মধ্যেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আসামি পক্ষের আইনজীবী এমএ গফুর বলেন, আদালতের আদেশে বাদী, বিবাদী ও তার স্বজনেরা সন্তুষ্ট।