ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আইনজীবী ছাড়াই জামিন পেয়েছেন দুই ব্যক্তি। এই দুই ব্যক্তির পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় বিচারপ্রার্থীর আবেদন বিবেচনায় নিয়েই এই জামিন দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক আইনজীবী ছাড়াই দুই ব্যক্তির জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নবীনগরের জাকারিয়া এবং সরাইলের এনায়েতুল্লাহ।
আদালতসূত্রে জানা গেছে, প্রতিবেশীর করা মামলায় গত ৯ জানুয়ারি থেকে জাকারিয়া কারাগারে ছিলেন। কিন্তু এতদিন আইনজীবীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ বর্জন করে আসছেন বলে তিনি আদালতে জামিন আবেদন করতে পারেননি। এই অবস্থায় জাকারিয়ার স্ত্রী সাবিনা আক্তার জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জিম্মায় জাকারিয়াকে ১০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন দেন।
একইভাবে এনায়েতুল্লাহ স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাকেও ১০ হাজার টাকার বন্ডে নিজ জিম্মায় জামিন দেন।
আরও পড়ুন : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার সব আদালত বর্জনের ঘোষণা দিলেন আইনজীবীরা
আইনজীবী ছাড়া আসামি জামিন দেয়ার এই ঘটনার আইনি দিক ব্যাখ্যা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘জামিনের জন্য আইনজীবী ধরতে হবে বা লিখিত আবেদন করতে হবে- এমন কোনো বিধান কোনো আইনে নেই। আসামি জামিনে মুক্তিযোগ্য কিনা, সেটি দেখার সম্পূর্ণ দায়িত্ব বিচারকের। বিচারকের কাজে আইনজীবী সহযোগিতা করতে পারেন মাত্র। কিন্তু আইনজীবী না থাকলে বিচারক নিজেই এই দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসামি যখন আইনজীবী ছাড়াই জামিন পান, তখন জামিনপ্রাপ্ত আসামি ক্রিমিনাল রুলস এন্ড অর্ডারস-এর ফরম নং (পি) ৬১ অনুসারে সাদা কাগজে বেলবন্ড দাখিল করবেন। কোর্ট ফিস আইনের ১৯ ধারার বিধান অনুসারে ফৌজদারি মামলার বেলবন্ডে কোনো কোর্ট ফি লাগানোর প্রয়োজন নেই।’
এদিকে আইনজীবী ছাড়াই আসামিকে জামিন দেয়ার এই ঘটনা বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।