রংপুরের কাউনিয়ায় মাদক মামলায় গ্রেফতার ফারহানা আক্তার মনিকে (২৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সঙ্গে পাঠানো হয়েছে তার দুই বছরের ছেলে সন্তানকে।
রংপুর মেট্রোপলিটন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক প্রতিষ কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রংপুর মেট্রোপলিটন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ আদেশ দেন। পরে সন্ধ্যায় মা ও ছেলেকে রংপুর কারাগারে নেওয়া হয়।
এর আগে শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) নিজ বাড়ি থেকে হেরোইনসহ ফারহানা আক্তার মনিকে আটক করে পুলিশ। তিনি হারাগাছ থানাধীন রংপুর সিটি করপোরেশনের কার্তিক কিশামত হাজিরবাজার বাঁধেরপাড় গ্রামের শামীমের স্ত্রী।
দুপুরে ফারহানা আক্তার মনি পুলিশকে জানান, তার স্বামী অটোরিকশার চালক এবং মাদক কেনাবেচার সঙ্গে জড়িত। তিনি স্বামীকে এ ব্যবসা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করলেও তার কথা স্বামী শুনতে নারাজ।
মনির দাবি, তিনি মাদক বেচাকেনার সঙ্গে জড়িত নয়।
শুক্রবার বিকেলে স্বামী পলিথিনের মোড়ানো একটা প্যাকেট তার কাছে রেখে যায়। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। দুই বছরের ছেলে তার সঙ্গে আছে। আর তার ৮ বছরের ছেলেটি বাড়িতে আছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, শামীমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১৫ পুড়িয়া হেরোইনসহ স্ত্রী মনিকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে শুক্রবার রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ফারহানা আক্তার মনিকে আসামি করে মামলা করেছে। শনিবার দুপুরে তাকে রংপুর মেট্রোপলিটন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ সময় দুই বছরের শিশু তার কোলে ছিল।
রংপুর মেট্রোপলিটন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক প্রতিষ কুমার সরকার বলেন, সন্ধ্যায় মাদক মামলায় এক নারীসহ তার দুই বছরের সন্তানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এটাই নিয়ম, শিশুকে মায়ের সঙ্গে কারাগারে পাঠানো হয়।