দেশের জনগণ ন্যায়বিচারের পেতে বিচারকদের মুখের দিকে তাকিয়ে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। জনগণকে ন্যায়বিচার দেওয়া বিচারকদের দায়িত্ব বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
১৪তম বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী জজদের ওরিয়েন্টশন কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সেমিনার হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আপনারা জনগণকে ফিরিয়ে দেবেন না। যে বিচার করবেন, তা যেন ন্যায়বিচার হয়। জনগণকে ন্যায়বিচার দেওয়া আপনাদের দায়িত্ব। এ প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনারা জনগণের যে প্রাপ্তি বা ন্যায্য অধিকার, সেটা তাদের ফিরিয়ে দেবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশ ওভারনাইট (এক রাতে) স্বাধীন হয়নি। কারও দয়ায় স্বাধীন হয়নি। আজকে ভাষার মাসে বলতে হয়, বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য দেশের সন্তানরা প্রাণ দিয়ে গেছেন। এ দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস আছে। মানুষের ঐতিহ্যের ইতিহাস রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় দেশ যখন স্বাধীন হয়েছিল, তখন আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কথাও বলা ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা আমাদের কাছে মূল্যবান। কারণ ব্রিটিশ শাসনামল বাদ দিলেও ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত আমরা যখন আদালতে বিচারের জন্য গেছি, ন্যায়বিচার পাইনি। যখন আমরা স্বাধীন হই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য একটি সংবিধান দিয়েছেন।’
আনিসুল হক বলেন, ‘ন্যায়বিচারের ব্যাপারে আমরা আপস করবো না। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, জনগণের শান্তি, জনগণের অধিকার। জনগণ যেভাবে ভালো থাকে, সেই কাজ করা। ভবিষ্যতে ডিজিটাইজ বিচার বিভাগ হবে, স্মার্ট জুড়িসিয়ারি হবে। সেই জুড়িসিয়ারির জন্য আপনাদের প্রস্তুত হতে হবে।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বর্তমানে দেশের আদালতে ৩৭ লাখ মামলার জট রয়েছে। এ মামলাজট আজকে হয়নি। সরকার যেদিন থেকে দেশ পরিচালনায় নিয়োজিত হয়েছে, সেদিন থেকে মামলার জট কীভাবে কমানো যায় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছে।’
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সাওয়ার ও ইনস্টিটিউটের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) শেখ আশফাকুর রহমান।