আইরিশ নাট্যকার, সমালোচক, বিসংবাদী এবং রাজনৈতিক কর্মী জর্জ বার্নার্ড শ কে একবার জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ‘মানুষের জীবনে অর্জন কি?’ উত্তরে তিনি বলেছিলেন, ‘মৃত্যুর পরেও বেঁচে থাকার চেষ্টা কর।’ আজকের উপস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে আবদুল মতিন খসরুও মৃত্যুর পরে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছিলেন।
সাবেক আইনমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মতিন খসরু স্মরণে সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তাঁকে এভাবেই স্মরণ করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ূন। সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এ স্মরণসভার আয়োজন করে আবদুল মতিন খসরু অ্যাসোসিয়েটস।
অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত ছিলেন, যারা যুদ্ধ করেছেন তাঁদের অন্তর্ভুক্ত হয়েও অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা হয়েও নামের সাথে এটি ব্যবহার করেননি। কিন্তু তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।
জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী আরো বলেন, তাঁকে (আবদুল মতিন খসরুকে) জাতি স্মরণ করবে এজন্য যে, যখন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তিনি আইনমন্ত্রী হয়ে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ওই আইন (ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ) বাতিল করেছিলেন।
এছাড়া ১/১১ -এর সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মামলা পরিচালনারকালেও তাঁর বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এসময় অ্যাডভোকেট হুমায়ূন আরো বলেন, একজন আইনজীবী ও মানুষ হিসেবে আবদুল মতিন খসরু ছিলেন কিংবদন্তী। তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। মূল আলোচক ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মাহমুদ আলী, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী, বার কাউন্সিলের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বুদু, বার কাউন্সিলের কমপ্লেইন্ট অ্যান্ড ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান সাঈদ আহমেদ রাজা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. বশির আহমেদ, মোমতাজ উদ্দিন মেহেদী, বর্তমান সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, আবদুল মতিন খসরুর স্ত্রী এবং ছোট ভাই প্রমুখ।