বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকাভুক্তির মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ৫ হাজার ৩২৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এছাড়া ২০ জন প্রার্থীর ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। ফল স্থগিত রাখা প্রার্থীদের বার কাউন্সিলে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
এনরোলমেন্ট কমিটির নির্দেশে আজ বৃহস্পতিবার (৯মার্চ) সংস্থার সচিব জেলা ও দায়রা জজ ড. ওয়াহিদুজ্জামান সিকদার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্যানুযায়ী, গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার ৩২৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। উত্তীর্ণ প্রার্থীরা দেশের যেকোন (অধস্তন) আদালত ও ট্রাইব্যুনালে আইন পেশায় নিযুক্ত হতে পারবেন। এক্ষেত্রে তাঁদেরকে ৬ মাসের মধ্যে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ গ্রহণ করতে হবে।
উত্তীর্ণ প্রার্থীদের তালিকা দেখতে লিংক ক্লিক করুন।
এদিকে পৃথক এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকিকাভুক্তির মৌখিক পরীক্ষার ফলাফলে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ কতিপয় প্রার্থীর তথ্যগত কিছু ত্রুটি সংশোধন করতে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, পরীক্ষার ফরম পূরণ, অ্যাডমিট কার্ড প্রাপ্তি প্রভৃতি কর্মকান্ড অনলাইনে সম্পাদিত হয়েছিল। এক্ষেত্রে কতিপয় প্রার্থীর নাম ও পিতার নামের বানান, জন্ম তারিখ প্রভৃতি কয়েকটি মৌলিক ইস্যুতে ত্রুটিপূর্ণ ডাটা এন্ট্রি হয়েছিল মর্মে কিছু সংখ্যক প্রার্থী বার কাউন্সিল অফিসে অহবিত করেছেন।
যদিও ফরম পূরণের সময় প্রার্থী নিজেদের যে সকল তথ্য অনলাইনে এন্ট্রি করেছেন, ঠিক সে তথ্যসমূহই অবিকল প্রার্থীদের অ্যাপ্লিক্যান্ট কপি, অ্যাডমিট কার্ড, ফরম ‘এ’ -সহ পরবর্তী সকল ডাটাবেইজে মুদ্রিত হয়েছে। ফলে আজ প্রকাশিত তাকিকাভুক্তির চূড়ান্তভাবে ঘোষিত ফলাফলে উত্তীর্ণ কতিপয় প্রার্থীর ডাটাবেইজে উল্লিখিত তথ্যসমূহে কিছু কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থেকে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এমতাবস্থায় বর্ণিত ফলাফলে উত্তীর্ণ রোল নাম্বারধারী প্রার্থীদের মধ্যে যদি কারো অ্যাপ্লিক্যান্ট কপি, অ্যাডমিট কার্ড, ফরম ‘এ’ কিংবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে রিঅ্যাপিয়ার ফরমে প্রার্থীর নাম ও পিতার নামের বানান বা জন্ম তারিখ সংক্রান্ত ভুলভ্রান্তি থাকে তাহলে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৭ দিনের মধ্যে সংশোধনীর সপক্ষে কাগজপত্রসহ বার কাউন্সিল অফিসের এনরোলমেন্ট শাখায় যোগাযোগ করতে হবে।