ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় গত ৬ মার্চ এ আদেশ দেন বলে আজ সোমবার (১৩ মার্চ) ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের আইনজীবী হান্নান ভুইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী হান্নান ভুইয়া জানান, জরিমানার টাকা জমা দেওয়ার জন্য আমরা সোনালী ব্যাংকের চালান কপি পূরণ করেছি। আশা করছি, আজই আমরা জরিমানার টাকা জমা দিয়ে দেব।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সংসদের স্পিকার থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চিকিৎসা ভাতার বিষয়ে অর্থ বরাদ্দের অভিযোগে জমির উদ্দিন সরকারসহ চার জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ২৮ ডিসেম্বর আগারগাঁও থানায় পৃথক পাঁচটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান খান ও উপ-সহকারী পরিচালক এস এম খবীরউদ্দিন বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাগুলো দায়ের করেন। বিদেশে চিকিৎসার জন্য অবৈধ উপায়ে সরকারি অর্থ অনুমোদন এবং তা নগদে তুলে নিয়ে আত্মসাৎ, সরকারি বাসভবনের আসবাবপত্র কেনা ও তা আত্মসাৎ এবং অতিরিক্ত অর্থ তোলার অভিযোগ আনা হয় মামলায়।
এসব মামলায় অন্য আসামিরা হলেন— বিএনপির সাবেক মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন, জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার আখতার হামিদ সিদ্দিকী ও জাতীয় সংসদের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম।
এর মধ্যে একটি মামলায় জমির উদ্দিনকে চিকিৎসা ভাতা হিসেবে নেওয়া ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৪ টাকা জরিমানার অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় জরিমানার টাকা জমা দিলে বাকি চার মামলা থেকেও তিনি খালাস পাবেন বলে বিচারক আদেশে উল্লেখ করেছেন।