মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী : আট হাজার ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় কক্সবাজারে ১ রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে দন্ডিত আসামীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ (ভা:) নিশাত সুলতানা রোববার (১৯ মার্চ) এ রায় ঘোষণা করেন।
দন্ডিত আসামী হলেন- কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পর বি-২, ব্লক-১ ইস্টের এর আবদুল নবী ও খতিজা খাতুনের পুত্র রোহিঙ্গা জাহিদ হোসেন (৫৩)। দন্ডিত আসামী পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে একই আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মোজাফফর আহমদ হেলালী এবং আসামীর পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত আইনজীবী (SDL) অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম-৪ আদালতে মামলাটি পরিচালনা করেন।
একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসাইন ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
২০২২ সালের ২৯ জানুয়ারি বিকেল পৌনে ৩ টার দিকে উখিয়ার লম্বাশিয়া ১৪, এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের একটি টিম কুতুপালং লম্বাশিয়া চৌরাস্তার মোড়ে মৌলভী জাবেরের মুদির দোকানের সামনে এক অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা শরনার্থী জাহিদ হোসেন কে আটক করে। পরে তার পরনের লুঙ্গির পেছনে গুজানো অবস্থায় থাকা ৮ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ১৪, এপিবিএন পুলিশের এসআই মোঃ মোজাহেরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রোহিঙ্গা জাহিদ হোসেনকে আসামী করে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার উখিয়া থানা মামলা নম্বর : ১১৯/২০২২ ইংরেজি। জিআর মামলা নম্বর : ১১৯/২০২২ ইংরেজি (উখিয়া) এবং এসটি মামলা নম্বর : ১৬৩৮/২০২২ ইংরেজি।
বিচার ও রায়
মামলাটি বিচারের জন্য ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটির ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে সাক্ষীদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার রিপোর্ট যাচাই, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য রোববার দিন ধার্য করা হয়।
রায় ঘোষণার দিনে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ (ভারপ্রাপ্ত) নিশাত সুলতানা আসামী জাহিদ হোসেনকে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ১০(গ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং একইসাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ বছর বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছেন।