যৌতুক মামলায় শুনানির সময় সরকার পক্ষে আপত্তি উত্থাপন করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ কৌঁসুলি (পিপি) জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিনের ওপর হামলার ঘটনায় আইনজীবী জাহিদুল মাহমুদ পলাশের সদস্যপদ এক মাসের জন্য স্থগিত করা করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি।
রংপুর আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত অভিযুক্ত আইনজীবীর সদস্যপদ স্থগিত থাকবে। এই সময়ে তিনি সমিতির সদস্য হিসেবে কোনও আদালত বা ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না। এ সংক্রান্ত পত্র রংপুরের জেলা ও দায়রা জজ, স্পেশাল জজ, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ সব আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক জানান, গত ২ মার্চ বিকাল ৩টার দিকে আইনজীবী পলাশের নেতৃত্বে শিক্ষানবিশ নুরুল ইসলাম খন্দকারসহ রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিশেষ পিপি সিনিয়র আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেনের অফিসে প্রবেশ করে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও কিলঘুষি মেরে মাটিতে ফেলে দেয়।
এই বিষয়ে আইনজীবী সমিতির কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ মার্চ সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে অভিযুক্ত আইনজীবীকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। অভিযুক্তের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় এক মাসের জন্য তার সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিশেষ পিপি জাহাঙ্গীর হোসেন দাবি করেন, জুনিয়র আইনজীবী পলাশের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা এবং প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগে তিনি রংপুর কোতোয়ালি থানায় লিখিত এজাহার দিয়েছেন। পুলিশ এখনও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ তিনি দিয়েছেন এবং সমিতি সিদ্ধান্ত তিনি মেনে নেবেন।