আগামী ১ এপ্রিল পাকিস্তানের পেশোয়ার হাইকোর্টের বর্তমান প্রধান বিচারপতি কায়সার রশিদের অবসরে যাবেন। বর্তমান প্রধান বিচারপতির অবসরের পর বিচারপতি মুসাররাত হিলালি হতে চলেছেন পেশোয়ার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। ফলে প্রথম বারের মতো নারী প্রধান বিচারপতি পেতে যাচ্ছে পেশোয়ার হাইকোর্ট।
বেলুচিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি তাহিরা সাফদারের পর মুসাররাত হিলালি দ্বিতীয় নারী যিনি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেবেন। বিচারপতি মুসাররাত হিলালি পেশোয়ার হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠতম বিচারকদের মধ্যে ছিলেন এবং অবসর নেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মুসাররাত হিলালি ১৯৬১ সালের ৮ আগস্ট পেশোয়ারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি খাইবার ল’ কলেজ, পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৮৩ সালে জেলা আদালতের একজন উকিল হিসাবে আইন পেশায় নিযুক্ত হন। পাঁচ বছর পর ১৯৮৮ সালে হাইকোর্টে এবং ২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসাবে নথিভুক্ত হন।
আইনজীবী সমিতিতে একাধিক পদে নেতৃত্ব দিয়েছেন মুসাররাত হিলালি। তিনি ১৯৮৮-১৯৮৯ বর্ষে আইনজীবী সমিতির প্রথম নারী দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত পর পর দুবার সমিতির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মুসাররাত হিলালি ২০০৭-২০০৮ এবং ২০০৮-২০০৯ কার্যবর্ষে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম নারী কার্যনির্বাহী সদস্য হিসাবে দুবার নির্বাচিত হন।
মুসাররাত হিলালি নভেম্বর ২০০১ থেকে ২০০৪ সালের মার্চ পর্যন্ত খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রথম মহিলা অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন এবং পরে খাইবার পাখতুনখোয়া পরিবেশ সুরক্ষা ট্রাইব্যুনালের প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি কর্মক্ষেত্রে নারীদের হয়রানির বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য প্রথম মহিলা ন্যায়পাল হিসাবেও কাজ করেছিলেন।
২০১৩ সালের ২৬ মার্চ মুসাররাত হিলালি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে বেঞ্চে উন্নীত হন এবং ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ পেশোয়ার হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারক হিসাবে নিশ্চিত হন।
উল্লেখ্য, গত বছর জানুয়ারিতে, বিচারপতি আয়েশা মালিক পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের প্রথম নারী বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর পাকিস্তানের বিচার ব্যবস্থায় ইতিহাস তৈরি করেছিলেন।