জরিপ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে জিরো টলারেন্স নীতিতে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে বিভাগীয় মামলা করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এসময় তিনি জানান, দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৩১ জরিপ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, জরিপ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেলে জিরো টলারেন্স নীতিতে তাৎক্ষণিকভাবে তদন্ত করে বিভাগীয় মামলা করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বর্তমানে ৫৮টি বিভাগীয় মামলা চলমান। বিভাগীয় মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ৩১ জরিপ কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
জরিপের সব স্তরে ঢাকা জোনের ভূমি মালিকরা এসএমএস ও মেইল পেয়ে থাকেন। এই সেবা পর্যায়ক্রমে সব জোনে করা হচ্ছে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনার আওতায় দুর্নীতি প্রতিরোধবিষয়ক সভা এবং সেমিনার আয়োজন করা হয়। তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সেবা গ্রহীতাদের সেবা প্রদান করা হয়। ডাক বিভাগের মাধ্যমে সেবা গ্রহীতার বাসায় ম্যাপ পৌঁছে দেওয়া হয়।
সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম নাজমা আকতারের প্রশ্নের জবাবে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমিসংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ‘রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন’ সংশোধনের জন্য ৬ জুন জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। এ আইনটি সংশোধন হলে সংশ্লিষ্ট মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।
বর্তমানে পুরো বাংলাদেশে ডিজিটাললি জরিপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান ভূমিমন্ত্রী।