এজলাস চলাকালীন মোবাইলে কথা বলার কারণে বিচারকের বিরুদ্ধে এক আইনজীবীকে আদালতের হাজতখানায় আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী আইনজীবী চট্টগ্রাম জেলা বারের সদস্য। তবে তাৎক্ষনিকভাবে তাঁর নাম জানা সম্ভব হয়নি।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রাম ৭ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে এ অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক অলি আহমদ ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগী আইনজীবী বারে এসে এ বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। বারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে।
সহকর্মীর সাথে বিচারকের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ সাধারণ আইনজীবীরা আগামী রোববার (৯ জুলাই) উক্ত কোর্ট বর্জনের ডাক দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে অ্যাডভোকেট অলি আহমদ বলেন, বার থেকে এখন পর্যন্ত কোর্ট বর্জনের সিদ্ধান্ত হয়নি। এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হলে বার নেতৃবৃন্দের সভা করে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
ঘটনার সময় এজলাসে উপস্থিত থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী আইনজীবী জানান, বিচারকাজ চলাকালে ভুক্তভোগী আইনজীবী সিভিল ড্রেসে এজলাসের এক কর্নারে বসে ছিলেন। এক পর্যায়ে তাঁর মোবাইলে কল আসলে তিনি তা রিসিভ করে কথা বলেন। বিষয়টি বিচারকের নজরে আসলে এজলাস চলাকালীন মোবাইলে কথা বলার কারণে ওই আইনজীবীকে হাজতে আটকে রাখেন তিনি।
যদিও এসময় ওই আইনজীবী বিচারককে নিজের পরিচয় দেন এবং এ ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে বিচারক তাতে কর্নপাত করেননি। পরবর্তীতে বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর উক্ত আইনজীবীকে কাস্টডি থেকে ছেড়ে দেন।