দ্রুত সময়ে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে বিচারকদের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, “বিচার বিভাগকে গতিশীল করে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মামলা জট সহনশীল মাত্রায় নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছ বিচার বিভাগ। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায়, তার ব্যবস্থা করা।”
আজ শনিবার (৮ জুলাই) পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিচার বিভাগ দুর্বল হলে রাষ্ট্রকে কখনোই শক্তিশালী বলা যাবে না উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশের গতিশীল রাষ্ট্র ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জুডিশিয়াল ব্যবস্থাকেও এগিয়ে নিতে হবে। সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে বড় বড় ভবন থাকলেও বিচারপ্রার্থীরা এসে স্বস্তিতে বসবেন, এ রকম ব্যবস্থা দেশের কোনো আদালতে নেই। অথচ তাদের জন্যই এই আদালত এবং বিচারব্যবস্থা। দূরদূরান্তের গ্রামাঞ্চল থেকে পুরুষদের সঙ্গে নারী বিচারপ্রার্থীরাও আদালতে আসেন।
“সারা দেশে প্রায় ৪০ লাখ মামলা বিচারাধীন। বাদী ও বিবাদী মিলিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ লোককে আদালত প্রাঙ্গণে আসতে হয়। তারা যেন স্বস্তিতে বসে পানি পান করতে পারেন, শৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন, সেজন্য সরকার ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠার জন্য অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে।”
পরে প্রধান বিচারপতি পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে বকুল ফুল গাছের চারা রোপণ করেন ও জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
এরপর দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি। সেখানে আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, “কঠোর পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতার সঙ্গে পেশাগত কাজ করতে হবে। সততাকে ধর্মের মতো ধারণ করতে হবে। সেই সঙ্গে বিচারপ্রার্থী মানুষের সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, পাবনা জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ বেগম শামীম আহমেদসহ আইনজীবী সমিতির সভাপতি আখতারুজ্জামান মুক্তা ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ বাবু উপস্থিত ছিলেন।