সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা
সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা (ফাইল ছবি)

সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ১৮ সেপ্টেম্বর

ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু দুদক প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আসাদুজ্জামান নতুন এ দিন ধার্য করেন।

আদালতের দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

২০২১ সালের ১০ অক্টোবর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন। মামলায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন করে তা নিজের ভাই ও আত্মীয়ের নামে স্থানান্তর ও হস্তান্তরের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) থেকে উত্তরা আবাসিক এলাকায় নিজের নামে একটি প্লট বরাদ্দ নেন। পরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহার নামেও রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পে তিন কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ করান।

এরপর প্রভাব খাটিয়ে তিন কাঠার প্লটটি পাঁচ কাঠায় উন্নীত করান। এক পর্যায়ে পূর্বাচলের প্লটটিকে উত্তরার চার নম্বর সেক্টরের ৬ নম্বর সড়কে (বাড়ি নম্বর ১/এ) স্থানান্তর করিয়ে রাজউকের অনুমোদন করান। বরাদ্দ পাওয়ার পর এস কে সিনহা প্লটটির ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ নিয়োগ করেন তারই আত্মীয় জনৈক শঙ্খজিৎ সিংহকে।

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজেই উত্তরার ওই প্লটের অনুকূলে রাজউকে ৭৫ লাখ টাকা পরিশোধ করেন। পরে তার তত্ত্বাবধানেই ওই প্লটে নয়তলা ভবন নির্মাণ হয়। ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৬ কোটি ৩১ লাখ ৫ হাজার ৮৬৫ টাকা। নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর মাধ্যমে এ নির্মাণ ব্যয় প্রাক্কলন করে দুদক।