ভূমি সচিব খলিলুর রহমান বলেছেন, কোনও এলাকায় জরিপ শুরু হলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট জমির মালিকদের গুরুত্ব সহকারে অবহিত করতে হবে। প্রয়োজনে এ জন্য যথাযথ প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের পুরাতন ভবনের প্রশিক্ষণ হলে অনুষ্ঠিত জেডএসও সম্মেলন ও অধিদফতরের দ্বি-মাসিক সভায় রবিবার (১৬ জুলাই) প্রধান অতিথি হিসেবে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যে ভূমি সচিব খলিলুর রহমান জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসারদের উদ্দেশে এই কথা বলেন।
এ সময় ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আব্দুল বারিক উপস্থিত ছিলেন।
সচিব বলেন, সংশ্লিষ্ট জমির মালিক ছাড়াও অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদেরও এ ক্ষেত্রে (জরিপ শুরু হলে) গুরুত্ব সহকারে অবহিত করতে হবে। জরিপ সম্পর্কিত অনেক সমস্যা কেবল তথ্যের অভাবের কারণে দেখা দেয়। একই সঙ্গে যাদের কমবেশি জমি আছে তাদেরও সচেতন থাকতে হবে।
সচিব আরও বলেন, বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল ভূমি সেবা চালুর পর থেকে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি, সিস্টেম যত বেশি স্বয়ংক্রিয় ও স্বচ্ছ হয়, তা তত বেশি টেকসই হয় এবং একই সঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগ কমে। এ জন্য আমরা জরিপ ব্যবস্থার টেকসই উন্নয়নের ওপর জোর দিয়েছি।
সচিব নাগরিকদের সুবিধার্থে যত দ্রুত সম্ভব জরিপ সংক্রান্ত মামলার জন্য একটি অনলাইন শুনানির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
ভূমি সচিব আরও উল্লেখ করেন, আমরা জনগণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ তাদের জমি নিয়ে কাজ করি। ভূমি সেবা ব্যবস্থা এবং ডাটাবেজ নিরাপত্তা এবং অর্থনীতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশনের শুরু থেকেই আমরা ভূমি সেবা ব্যবস্থার সাইবার নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং জরিপ ও রেকর্ড ডিজিটাইজেশন সংশ্লিষ্ট ভেন্ডার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার মাঠ পর্যায়ে ভূমি জরিপ (ক্যাডাস্ট্রাল সার্ভে) ও রেকর্ড প্রস্তুত, পরিচালনা, সংগঠন, ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রণ এবং তত্ত্বাবধান করে থাকেন। জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে ভূমি মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের আওতায় সারা দেশকে ১৯টি জরিপ এলাকায় ভাগ করা হয়েছে। যার প্রধান আঞ্চলিক অফিস হচ্ছে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস।
এছাড়া, নদী ও উপকূলীয় এলাকায় নতুন জেগে ওঠা চর ভূমির দায়িত্বে আছে একটি দিয়ারা অপারেশন অফিস। জেডএসও-এর অধীনে চার্জ অফিসার, সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার, সার্ভেয়ারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা কাজ করেন।
২০২২ সালের ৩ আগস্ট পটুয়াখালীতে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ (বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে -বিডিএস)-এর পাইলটিং উদ্বোধন করেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। খুব শিগগিরই সারা দেশে একযোগে বিডিএস রোলআউট করা হবে। বিডিএসের সফল বাস্তবায়নে জেডএসওদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।