বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করার ঘটনা তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সরকারি তিনটি সংস্থাকে যৌথ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি আবেদন আমলে নিয়ে আজ রোববার (২৩ জুলাই) রাজশাহীর সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়াউর রহমান এই আদেশ দেন।
“তিন সদস্যের এই যৌথ তদন্ত দল অপরাধ বিষয়ে ডিজিটাল সাক্ষ্য গ্রহণ, প্রতারক চক্রের অফিস ও অ্যাপসভিত্তিক প্রতারণা কার্যক্রম বন্ধসহ তদন্ত কর্মকর্তার আইনগত সব দায়িত্ব পালন করবেন এবং তদন্ত শেষে যৌথভাবে আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করবে।”
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত এ ধরনের প্রতারণা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে প্রতারক চক্রকে শনাক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আজ দুপুরে আদালতের শরানাপন্ন হন আইনজীবী জহুরুল ইসলাম।
সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি ইশমত আরা বেগম জানান, এ আবেদনটি আমলে নিয়ে বিচারক রাষ্ট্রের তিন তদন্তকারী সংস্থাকে যৌথভাবে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন।
এ আদেশকে যুগান্তকারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আগে কোনো মামলায় একটি সংস্থাকে তদন্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু অ্যাপ নিয়ে প্রতারণা করে মানুষকে নিঃস্ব করার ঘটনাটির যৌথ তদন্ত করতে তিন সংস্থাকে আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এ তিন সংস্থা হলো রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানা পুলিশ, সিআইডি এবং পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন।”
আদেশে বলা হয়েছে, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এর ৩৯(২) ধারা অনুযায়ী অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে রাজপাড়া থানা, সিআইডি, ও পিবিআই রাজশাহীর সাইবার বিষয়ে চৌকস একজন করে সাব-ইন্সপেক্টর বা তার উপরের কর্মকর্তার সমন্বয়ে যৌথ তদন্ত দল গঠনের আদেশ দেওয়া হল।”
“তিন সদস্যের এই যৌথ তদন্ত দল অপরাধ বিষয়ে ডিজিটাল সাক্ষ্য গ্রহণ, প্রতারক চক্রের অফিস ও অ্যাপসভিত্তিক প্রতারণা কার্যক্রম বন্ধসহ তদন্ত কর্মকর্তার আইনগত সব দায়িত্ব পালন করবেন এবং তদন্ত শেষে যৌথভাবে আদালতে পুলিশ রিপোর্ট দাখিল করবে।”
এর আগে বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিবেদন সংযুক্ত করে প্রতারক চক্রকে শনাক্ত, কার্যক্রম বন্ধ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়া আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন অ্যাডভোকেট জহুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা আগেও হয়েছে। এখনও চলছে। কিন্তু মানুষ সচেতন হচ্ছে না, আবার প্রতারক চক্রটিও তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নাগরিকদের সচেতন করতেই মামলাটি করেছি।”
আদালতের এই আদেশ এসব কার্যক্রমটি বন্ধে সহায়ক হবে বলেও তিনি মনে করেন।