বদনাম নিয়ে বিদায় নিতে হবে : কক্সবাজার জেলা জজকে হাইকোর্ট
কক্সবাজারের জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল ও হাইকোর্ট

নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন কক্সবাজারের জেলা জজ

নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে পার পেলেন কক্সবাজারের জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল। হাইকোর্টে তাকে সতর্ক করে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন গ্রহণ করেন এবং অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

রুলে বিচারিক আদালতে এ জেলা জজ কোর্ট থেকে পাওয়া ৯ আসামির জামিন কেন বতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

এর আগে আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে করা এক মামলায় আসামিদের জামিন দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে গত ২০ জুলাই হাইকোর্টের এই বেঞ্চে হাজির হন মোহাম্মদ ইসমাইল। তারপর আদালতে উপস্থিত হয়ে তিনি নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্যে আজকের দিন ঠিক করেন আদালত।

ওই দিন আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

ওই মামলায় কক্সবাজারের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন। এই আদেশ বাস্তবায়ন না হওয়া সত্ত্বেও একই দিন জেলা জজ আসামিদের জামিন দেন বলে হাইকোর্টের শুনানিতে বলা হয়। এটিকে ‘অস্বাভাবিক’ উল্লেখ করেন হাইকোর্ট।

জানা যায়, জমির দখল নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভয়ভীতি প্রদর্শন ও আইনশৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগে ৯ জনের বিরুদ্ধে খোদেস্তা বেগম নামের একজন কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ ও আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী দ্রুতবিচার আদালতে নালিশি মামলা করেন।

মামলায় আসামিরা হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। গত ১১ এপ্রিল হাইকোর্ট তাদের ছয় সপ্তাহের মধ্যে কক্সবাজারের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতে গত ২১ মে আসামিরা দুপুর ১২টার দিকে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। সেদিন চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৯ আসামির জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগেই চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আদেশের কপি পাননি উল্লেখ করে সকাল ১০টার দিকে আদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জামিনের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হলফনামাসহ আবেদন করেন।

একই দিন কক্সবাজারের দায়রা জজ ৯ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এই আদেশের বিরুদ্ধে খোদেস্তা বেগম হাইকোর্টে আবেদন (ফৌজদারি রিভিশন) করেন।