সনাতন পদ্ধতির চলমান ভূমি জরিপ বাতিল হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, দেশে ডিজিটাল জরিপ ছাড়া যেসব জরিপ হচ্ছে (পুরানো পদ্ধতিতে) সমস্ত জরিপ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য আজকে নির্দেশনা দিয়েছি। ইতোমধ্যে যে জরিপ হয়েছে এগুলো বাতিল হিসাবে গণ্য হবে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল,২০২৩-এর উপর সংশোধনী আলোচনায় অংশ এ নিয়ে জাতীয় সংসদকে এ তথ্য জানান ভূমিমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে বাংলাদেশ সার্ভে (বিএস) চলমান। এই জরিপটি দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। ফলে বিএস জরিপ যে অবস্থায় রয়েছে তার কোন অংশের বা কোন পর্যায় থেকে বাতিল হবে মন্ত্রীর বক্তব্যে তা পরিষ্কার হয়নি।
ভূমি জরিপে দুর্নীতি নিয়ে রবিবার সংসদে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা নানান অভিযোগ করেছিলেন। মঙ্গলবারও এ নিয়ে কথা হয়। পরে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিলেরে উপর সংশোধনী আলোচনায় অংশ নিয়ে এ নিয়ে কথা বলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
জরিপ নিয়ে গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের বক্তব্যে একমত পোষণ করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমার কাছেও সাম্প্রতিক কিছু অভিযোগ এসেছে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে। এতে আমরা হাত দিয়েছি। পাইলটিং প্রকল্প নিয়েছি পটুয়াখালী ও বরগুনাতে।
তিনি বলেন, কিছু কিছু জায়গায় জরিপ (সনাতনি জরিপ) হচ্ছে। আমার কাছে অভিযোগ এসেছে, এমনকি আমার এলাকায়ও হচ্ছে। মানুষ চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আমি আজকেই নির্দেশনা দিয়েছি দেশের ডিজিটাল জরিপ ছাড়া পুরনো স্টাইলে যেসব জরিপ হচ্ছে সমস্ত জরিপ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে যে জরিপ হয়েছে এগুলো বাতিল হিসাবে গণ্য হবে। কারণ এত কষ্ট করছি যদি দুর্নামের ভাগী হয়ে থাকি তাহলে নিরর্থক। সুতরাং যেসব জরিপ হচ্ছে, সব বন্ধ।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিটাল সার্ভে পর্যায়ক্রমে হবে, এগুলো আসবে। আর ইতোমধ্যে যেসমস্ত জরিপ হয়েছে সব বাতিল। এটা আমি সংসদে দাঁড়িয়ে নিশ্চিত করতে চাই।’
ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিল সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য— অশান্তি কমানো, অপরাধ প্রতিরোধ করা। এ কারণে স্লোগান হচ্ছে দলিল যার, জমিন তার। শক্তি যার জমি তার— এটা রোধ করার জন্য এ আইনটা। তাই এটা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ নেই।’