বিএনপি চেয়ারপাসরন খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার দাবিতে আইনজীবীদের পদযাত্রায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা আইনজীবীর সমিতির মূল ফটকের সামনে (ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উল্টো পাশে) এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় কোতয়ালী জোনের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মুহিত কবির সেরনিয়াবাতসহ ৫/৬ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে দাবি করছে পুলিশ। আর আইনজীবীদের দাবি, পুলিশের লাঠিচার্জে অর্ধশতাধিক আইনজীবী আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, ‘এটা আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচী ছিল। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচী পালন করছিলাম। প্রধানমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী এবং অ্যাটর্নি জেনারেলের নির্দেশে আজ পুলিশ বাহিনী আইনজীবীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ হামলা শুধু আইনজীবীদের ওপর হামলা না, আইনের শাসন, মানবাধিকারের ওপর হামলা। আমরা এই হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। আইনজীবী প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যতদিন পর্যন্ত সরকারের পতন না হবে ততদিন তারা ঘরে ফিরে যাবে না।’
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আইনজীবীরা সাধারণত আদালতের ভেতর কর্মসূচী পালন করেন। তারা আজ আদালতের বাইরে এসে কর্মসূচী পালন করছেন। আমরা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রস্তুত ছিলাম। কিন্তু তারা অতি উৎসাহী হয়ে আমাদের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে। এতে আমাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন।’
জানা গেছে, ইউনাইটেড ল’ইয়ার্স ফ্রন্ট ঢাকা বার ইউনিটি ভোটাধিকার, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এ পদযাত্রার আয়োজন করে। দুপুর ১২ টার দিকে তারা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সামনে থেকে পদযাত্রা নিয়ে রায় সাহেব বাজার অভিমুখে যাত্রা করে। কিছু দূর যেতেই পুলিশ তাদের পথরোধ করে। এসময় তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। আইনজীবীরা পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। তারপরও আইনজীবীরা সামনের দিকে এগিয়ে যায়। তারা ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের প্রধান ফটকের সামনে যান। সেখান দিয়ে সিএমএম আদালতে ঢুকতে গেলে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। কিছুক্ষণ সেখানে ধাক্কাধাক্কি হয়।