আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলা বাতিলের সুযোগ নেই এবং এক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আইন অনুযায়ী, পুরোনো আইনে যে অপরাধ সংঘটিত হবে, তার শাস্তি পুরোনো আইনেই হবে এবং অপরাধীকে শাস্তি দেবেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদে গণফোরামের সংসদ সদস্য মুকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
বৃহস্পতিবারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়। এর আগে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৭ রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ পাস করা হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, আইনের অবস্থান হলো যেসব অপরাধ পুরোনো আইনে করা হয়েছে, সেই পুরোনো আইনে যে শান্তি, সেই শাস্তি অপরাধীকে আদালত দেবেন। সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, অপরাধের দায়যুক্ত কার্যসংঘটনকালে বলবৎ ছিল, এইরূপ আইন ভঙ্গ করিবার অপরাধ ব্যতীত কোনো ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা যাইবে না এবং অপরাধ-সংঘটনকালে বলবৎ সেই আইনবলে যে দণ্ড দেওয়া যাইতে পারিত, তাহাকে তাহার অধিক বা তাহা হইতে ভিন্ন দণ্ড দেওয়া যাইবে না।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৭ রহিত করে সাইবার নিরাপত্তা আইন, ২০২৩ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে সাইবার নিরাপত্তা আইনে রহিতকরণ ও হেফাজত সংক্রান্ত বিধান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে দায়েরকৃত অভিযোগ ও তদসংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রম বা সূচিত কোনো কার্যধারা বা দায়েরকৃত কোনো মামলা বা আপিল যেকোনো পর্যায়ে অনিস্পন্ন থাকলে ওই কার্যধারা বা আপিল এমনভাবে চলমান থাকবে যেন তা সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীন সূচিত বা দায়েরকৃত। ফলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীন দায়েরকৃত মামলা বাতিল করার সুযোগ নেই এবং এ সংক্রান্তে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।